সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে সুরমা নদীতে নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে সার্ভিসের কর্মীরা। নিহতরা হলেন- কবির হোসেন ও জুম্মন আহমেদ। তাদের একজন দিরাই থানার মুরাদপুর গ্রামের ও অন্যজন জামালগঞ্জের। এ ঘটনায় আরও এক শ্রমিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নদীর সংবাদপুর গ্রাম অংশ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ আব্দুল নাসের বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বালুবোঝাই নৌকার সঙ্গে বাল্কহেডের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নদীতে পড়ে যান। তিনজন নৌকায় উঠতে পারলেও বাকি তিনজন নিখোঁজ হন। সকালে তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা কাজ শুরু করেন। পরে বিকেলে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাল্কহেডচালক পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার তুপখানা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে নান্না মিয়া (৬০), একই জেলার ভান্ডারিয়া থানার হরিনপাশা গ্রামের মমিন উদ্দিনের ছেলে কবির হোসেন (৩৫), তার ছেলে তাওহিদ মিয়া (১৫) ও মঠবাড়িয়া থানার উদয়তারা বুরুঞ্চা গ্রামের নেছার তালুকদারের ছেলে আয়ুব আলীকে (৪৮) আটক করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, রাতে দুর্ঘটনার খবর তাদের কাছে পৌঁছালে বৃষ্টি ও অন্ধকারের জন্য উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। সকালে সুনামগঞ্জ স্টেশন থেকে এসে প্রতিকুল আবহাওয়ার মাঝেই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন তারা। দুপুর দেড়টার দিকে নৌকার অবস্থান নির্ণয় করতে সক্ষম হন। পরে বিকেলের দিকে নৌকার ভেতর থেকে একজনের ও বাইরে থেকে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা নিউটন দাশ বলেন, নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আরেকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিখোঁজ আরেকজনকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
২৩৮ বার