সুনামগঞ্জে প্রেমিকের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীর ধর্ষণ মামলা
সুনামগঞ্জে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে থাকা কলেজ ছাত্রী অবশেষে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের জয়নাল আবেদীন জুয়েলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সুনামগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে স্নাতক পড়ুয়া ঐ ছাত্রী। ঐ ছাত্রী শনিবার (০৮ জুলাই) থেকে সোমবার পর্যন্ত দুইদিন উপজেলার চারাগাঁও মাইজহাঁটিতে জুয়েলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছিলেন। প্রেমিক জুয়েল বাড়ীতে ফিরে না আসায় রবিবার মধ্য রাতে সুনামগঞ্জ সদর থানায় তাকে আসামী করে অবশেষে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
আইনজীবি সহকারি জুয়েলের দ্বিতীয় বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল আজ (সোমবার)। গায়ে হলুদের আয়োজনও করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিয়ের একদিন আগেই প্রেমিক জুয়েলের বিয়ের সংবাদ পেয়ে ঐ কলেজ ছাত্রী স্ত্রীর দাবি নিয়ে বাড়িতে এসে অনশনে বসেন। অনেক চেষ্টার করার পরও কলেজ ছাত্রীকে ফেরত পাঠাতে পেরে অবশেষে প্রেমিক জুয়েল বাড়ী থেকে চম্পট দেয়। প্রেমিক জুয়েল বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় আজ (সোমবার) তার দ্বিতীয় বিয়েও পন্ড হয়ে যায়।
সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ওই শিক্ষার্থী গণমাধ্যকর্মীদের সহায়তা চেয়ে মোবাইল ফোনে জানান, জুয়েল প্রথমে তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ২০১৪ সালে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে এলাকার তার বন্ধু সেলিমসহ বেশ কয়েকজনকে স্বাক্ষী রেখে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ২ লাখ টাকা দেনমোহরানায় বিয়ে করে এবং স্বামী স্ত্রী হিসেবে তারা একই সঙ্গে বসবাস করতে থাকেন। আইনজীবী সহকারি দাবিদার জয়নাল আবেদীন জুয়েল কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিছিন্ন করে দেন। ঐ বিয়ের সাক্ষী জুয়েলের বন্ধু সেলিম জানান, প্রায় দুই বছর আগে জুয়েল ঐ কলেজ ছাত্রীকে সুনামগঞ্জ ষোলগড় এলাকার একটি বাসায় গোপনে বিয়ে করে। বিয়ের অঙ্গিকারনামায় তার নাম সাক্ষী হিসেবে রয়েছে।
উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. খসরুল আলম ওই ছাত্রী যেন ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য প্রশাননের সহযোগিতা চেয়েছেন। তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, রবিবার রাতে মহিলা পুলিশের সহযোগিতায় ঐ কলেজ ছাত্রীকে জুয়েলের বাড়ী থেকে থানায় আনা হয়। ঘটনাস্থল সুনামগঞ্জ সদর হওয়ায় তাহিরপুর থানা থেকে মামলা ফরোয়ার্ড দিয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় পাঠানো হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিম বাদি হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীকে গ্রেফতার করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।