সুনামগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে পড়ে যুবকের প্রাণ গেলো
বার্তা ডেস্ক: সুনামগঞ্জে এক তরুণীর প্রেমের ফাঁদে পড়ে ‘প্রতারণা’র শিকার হয়েছেন জুবায়ের আহমদ জনি (২২) নামে এক যুবক। শেষপর্যন্ত ওই যুবক ‘আত্মহত্যা’ করতে বাধ্য হন। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে ব্যবসায়ী ছয়ফুল্লা আদালতে এ অভিযোগ করেন। পরে আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ মামলা নেয়। এ ঘটনায় ওই তরুণীসহ আটজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
জুবায়েরের বাবা ছয়ফুল্লা জানান, প্রায় আড়াই মাস আগে শহরের আফতাব নগরের বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে একদিনই দেখা হয় তার ছেলের। এরপর কয়েকদিন ফোনে কথা হয়। এ সময় জুবায়েরকে কিছু কথা আছে বলে বাসায় ডেকে নেন তরুণী। ওই বাড়িতে গেলে গোয়াল ঘরে জুবায়েরকে নিয়ে প্রবেশ করেন তরুণী। গোয়াল ঘরে ঢুকতেই তরুণীর বন্ধু ফরহাদসহ অন্যরা বাইরের দিকে তালা লাগিয়ে দেন। এরপর তারা জুবায়েরকে নির্যাতন করেন। পরদিন ২৬ মার্চ থানায় ধর্ষণ মামলা (নম্বর ২৯) দায়ের করেন তরুণী। এই মামলায় জুবায়েরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তরুণীর বন্ধুরা জুবায়েরের বাবাকে জানান, ১০ লাখ টাকা দিলে তরুণী আপোষ করবে এবং তার একমাত্র সন্তান জুবায়ের মুক্তি পাবে।
জুবায়েরের বাবা বলেন, সন্তানকে মামলা থেকে রেহাই দিতে স্থানীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে ওই মেয়েকে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা নগদ তুলে দেন। স্থানীয় কাউন্সিলরসহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতে টাকা দিয়ে আপোষ করার পর ২৭ দিন পর জুবায়ের জেল থেকে বের হন। এ ঘটনায় অপমানিত বোধ করেন জুবায়ের। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু ওই তরুণী তার পিছু ছাড়েননি। নানা ফোন থেকে তাকে হুমকি-ধমকি এবং বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। মেয়েটির চাপে ভীত থাকতো জুবায়ের।
ছয়ফুল্লা জানান, বুধবার (৯ জুন) রাতে তিনি এবং তার ছেলে একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে নিজ নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে স্ত্রী আজিজুন নেছার মোবাইলে ফোন দেন ওই তরুণী। বলেন, জুবায়েরের কক্ষে তাড়াতাড়ি যেতে। স্ত্রী ওই কক্ষে গিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখতে পান ছেলে ফ্যানে ঝুলছে। জুবায়েরের বাবার দাবি, ওই সময় তার ছেলের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার অন করা ছিল। আত্মহত্যার সময় জুবায়ের ভিডিও কলে ওই তরুণীকে রেখেছিলেন।