সুনামগঞ্জে বাজারভরা লিচু, সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে
শহীদনুর আহমেদ :: সুনামগঞ্জের ফলের বাজার লিচুর দখলে। লাল কালচে বর্ণের রসালো এই ফল কিনতে ভিড় জমাতে দেখা যায় ফলবাজারে। ক্রেতারা জানান বাজারে লিচু বেশি থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে । ফলে রসালো এই ফলটি কিনতে গিয়ে দামের নাগাল পাচ্ছেন না নিম্নআয়ের লোকজন। জানা গেছে, অধিক মুনাফা লাভে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমত দাম বাড়িয়ে লিচু বিক্রি করছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তৎপর না থাকায় বাজারে লিচুসহ অন্যান্য ফল অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। শনিবার বিকেলে শহরের ফলের বাজার, আলফাত উদ্দিন স্কয়ার, ওয়েজখালীসহ একাধিক স্থান ঘুরে লিচু বিক্রি করতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের। জেলার মানিকপুরের লিচুর চেয়ে আমদানীকৃত বিদেশী লিচুর উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। এসব ফলের দোকানে লিচু কিনতে রীতিমত ভীড় জমতেও দেখা যায়। তবে লিচু কিনতে আসা এসব ক্রেতারা প্রায়ই উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারের। দাম বেশি হওয়ায় এসব লিচু সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ছোট আঁটি বেধে লিচু ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। যা সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে বলে জানান লিচু কিনতে আসা একাধিক লোক।
একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন ,দু‘দিন আগেও যে লিচু আঁটি প্রতি ১০০ টাকা বিক্রি হয়েছিল, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভে এসব লিচু এখন বিক্রি করছেন ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। তাছাড়া প্রতি আঁটিতে ৫০ এর অধিক লিচু থাকার কথা বলে বিক্রি করলেও বাস্তবে ৩০টি বেশি পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ক্রেতা। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন যাতায়াত খরচ বেশি হওয়া ও লিচুর পাইকারী মূল্য বেড়ে যাওয়ায় লিচু দাম বেড়েছে। তবে লিচুর আমদানী বাড়লে দাম আরো কমতে পারে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। সুমন নামে একজন বলেন, লিচুর বাজার সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে । আমরা না হয় কোনো মতে এই দামে লিচু কিনতে পারছি। কিন্তু নিম্নআয়ের মানুষরা কিভাবে কিনবে। তাদেরতো লিচু দেখেই লিচু খাওয়ার স্বাদ নিতে হবে। ক্যাব সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি একলাছুর রহমান বলেন, আমরা প্রত্যেক মাসিক মিটিংয়ে বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্যে বলি। প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেন। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভে ফলসহ বিভিন্ন দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এ ক্ষেত্রে তদারকি বাড়ানোর জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।