সুনামগঞ্জে মহিলা আ’লীগের ৯১ সদস্য বিশিষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া- সুনামগঞ্জে দীর্ঘ ২২বছর পরে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১জুলাই) দিনব্যাপী সুনামগঞ্জ মহিলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শহরের নতুন শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য এডভোকেট শামছুন নাহারের সভাপতিত্বে ও নারীনেত্রী সামিনা চৌধুরী মণির সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ সাফিয়া খাতুন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদিকা মাহমুদা বেগম(কৃক),কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারন সম্পাদিকা শিরিন রোখসানা,শিখা চক্রবর্তী,কামরুন নেছা মান্নান,সাংগঠনিক সম্পাদিকা দিলরুবা জামান,শেখ আনার কলি পুতুল,সুরাইয়া বেগম ইভা,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদিকা নীলিমা আক্তার লিলি,তথ্য ও গবেষনা বিষয় সম্পাদিকা সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা,সদস্য বেরেকা সুলতানা,কণা জব্বার,শাহনাজ হাবিব,সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট আপ্তাব উদ্দিন,বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান,সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী হুসনা হুদা,জামালগঞ্জ উপজেরা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক হাফিজা আক্তার দিপু,সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া,জামালগঞ্জ যুব মহিলা লীগের আহবায়ক শাহানা আল আজাদ জেলা যুব মহিলালীগের আহাবয়ক সানজিদা নাসরিন ডায়না,তাহিরপুর যুব মহিলা আওয়ালীগের মনোয়ারা খাতুন,বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী মাফুজা বেগম প্রমুখ। এতে জেলার ১১টি উপজেলার তৃণমূলের হাজারো মহিলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে পরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার আসনের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য এডভোকেট সামছুৃন নাহার শাহান রব্বানীকে সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুরুল হুদা মুকুটের সহধর্মিনী জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী হুসনা হুদাকে সাধারন সম্পাদক করে ৯১সদস্যর বিশিষ্ঠ সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষনা করা হয়। কমিটিতে কয়েকজনের নাম ঘোষনা করা হলেও বাকিদের নাম পরে ঘোষনা করা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহসভাপতি পদে রিতা বেগম,রওশন আক্তার পুতুল,নাসিমা চৌধুরী এলি,রওশন সিদ্দিকা কেয়া,সহ সাধারন সম্পাদক কনিজ রেহলোমা রাব্বানী ভাষা,সেলিনা আবেদীন,সাদিয়া বখত সুরভী,সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদা বেগম,ফারজানা আক্তার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সাফিয়া খাতুন বলেছেন,সংগঠনে পদ পদবী পাওয়া বড় কথা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্দশকে কতটুকু অন্তর থেকে অনুসরণ হয় কিনা সে বিষয়টি সবাইকে বুঝতে হবে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়েছে,সেই ধারবাহিকতা বজায় রাখতে প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগনের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বুঝতে হবে আওয়ামীলীগ সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে দেশের প্রতিটি ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মকর্ম নির্বিঘেœ পালন করতে পারেন। তিনি আরো বলেন,ক্ষমতায় মোহে কোন নেতাকর্মী যদি দলে বিভাজন সৃষ্টি করেন তাহলে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা পড়ে যাবেন বেকায়দায়। তখন এই সুযোগটুকু কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী বৈতরনী পাড় হওয়ার চেষ্টা চালাবে স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবির ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। কাজেই আজ থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবির ও বিএনপি জোটের যে কোন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকান্ড প্রতিহত করতে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদিকা মাহমুদা বেগম (কৃক) বলেন,দীর্ঘ ২২বছর পরে হলেও হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের নারী সমাজ আজ যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি সংগঠন পরিচালনা করার সুযোগ পাবে। দীর্ঘদিনের বঞ্চনা অত্যাচার আর নির্যাতন রোধ এবং এ অঞ্চলের নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগঠনের নারীনেত্রীরা কাজ করার সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে নারীদের ছিল গৌরব উজ্জল ভূমিকা । মনে রাখতে হবে আমাদের দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তার দূরদর্শি চিন্তা চেতনা আর যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বিশে^ বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। আজ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের মাধ্যমে বিশ^কে জানিয়ে দেয়া হলো বাংলাদেশ কোন ভিক্ষুকের জাতি নয়,তথ্য প্রযুক্তির দিকে দেশ অনেক এগিয়েছে। আজ গ্রামের মানুষজন ঘরে বসে তথ্য সেবা পাচ্ছেন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার ফলে সাধারন মানুষজন সচেতন হচ্ছেন,দারিদার অভিশাপ থেকে আস্তে আস্তে জাতি মুক্ত হচ্ছেন। শেখ হাসিনার কারণে দেশে র্দূভিক্ষো আর নেই মংগা নেই,সবাই দু’বেলা দু’মুঠো ভাত পেঠ ভরে খেতে পারছেন। তাই আদর্শ ও ত্যাগ নিয়ে জনকল্যাণে রাজনীতি করাই হলো প্রকৃত রাজনীতিবিদের মূল লক্ষ্যে। এজন্য সুনামগঞ্জের তৃণমূলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আরো সুসংগঠিত হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে গিয়ে নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে গনজোয়ার সৃষ্টি করার আহবান জানান।