আল-হেলাল: সুনামগঞ্জে ‌র‍্যাবের  আটক হাতে ৪ বস্তা ভারতীয় মদের মালিক লক্ষণ বনিককে আটক করেছে পুলিশ। ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে শহরের পশ্চিমবাজারস্থ শ্রীগুরু শিল্পালয় থেকে লক্ষণ বনিককে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়,র‍্যাবের হাতে নৌকা চালক মোঃ রুহুল আমিন আটক হলেও লক্ষণ বনিক ধরাছোয়ার বাইরে ছিল।

গত ৮ আগস্ট রোববার রাতে  সুনামগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ ও র‍্যাব -৯ এর টহলদল  শহরের উত্তর আরপিননগর আবাসিক এলাকার অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৮শত পচাত্তর টাকা মূল্যের মোট ৪ বস্তায় রক্ষিত ৭২টি ভারতীয় মদের বোতল ও ২ হাজার ৪ শত টাকা জব্দসহ নৌকা চালক রুহুল আমিন কে আটক করে। এ ঘটনায় র‍্যাবের ওসি আহাম্মদ আলী বাদী হয়ে রুহুল আমিনসহ অজ্ঞাতনামা লোকজনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলাটি সদর থানার এসআই অঞ্জন চন্দ্র সরকার তদন্ত করছেন।

তদন্তে জানাযায়, ঘটনার দিন বিকেল বেলা শহরের পশ্চিম বাজারস্থ শ্রীগুরু শিল্পালয় নামের স্বর্ণের দোকানের মালামাল আনার কথা বলে তার নৌকা ভাড়া নেয় শংকর বনিক এর পুত্র রামকৃষ্ণ বনিক। রামকৃষ্ণ বনিকের বিয়ে উপলক্ষে সেখানে মদ সরবরাহ করার লক্ষে মদের চালান নিয়ে আসার জন্য তারা রুহুল আমিন ও তার নৌকা ভাড়া নেয়। স্বর্ণের দোকানের মালামাল আনার কথা বলে নৌকা ভাড়া করলেও উক্ত রামকৃষ্ণ বনিক এর ভ্রাতা লক্ষন বনিক বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ভাদেরটেক মনিপুরিহাটি ঘাটে নিয়ে দীর্ঘ রাত প্রতীক্ষার একপর্যায়ে পাটের বস্তায় বাক্সভর্তি মদের বোতল নৌকায় উঠায়। সেখান থেকে আরপিননগর ঘাটে ফিরে “তুমি আমার মালগুলো নৌকা থেকে তোমার বাড়িতে রেখে দিও আমি পরে গাড়ি এনে মালগুলো নিয়ে যাবো” বলে উক্ত লক্ষন বনিক বাসায় চলে যায়। এর মধ্যে সোর্সসূত্রে সংবাদ পেয়ে র‍্যাবের আভিযানিক দল রুহুল আমিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মদের বস্তাসহ রুহুল আমিন কে আটক করে।

উল্লেখ্য আটককৃত রুহুল আমিনের মোবাইলে শংকর বনিক এবং তার পুত্র রামকৃষ্ণ বনিক ও লক্ষন বনিক এর পরিচালনাধীন স্বর্ণের দোকান শ্রীগুরু শিল্পালয় এর মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কললিস্ট ও রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে শহরের পশ্চিমবাজারস্থ শ্রীগুরু শিল্পালয় থেকে লক্ষন বনিক কে গ্রেফতার করে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শংকর বনিক ও তার পুত্র রামকৃষ্ণ বনিক রামু মদের চালানের মালিক তারা নন উল্লেখ করে বলেন,র‍্যাব পুলিশকে ব্যবহার করে কোন শত্রু পক্ষ আমাদেরকে হয়রানী করছে। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সহিদুর রহমান স্বর্ণ ব্যবসায়ী লক্ষন বনিক কে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করে বলেন,র‍্যাবের দেয়া মাদক মামলায় জড়িত সকল মাদক ব্যবসায়ীদেরকেই আমরা তদন্তের পর পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করবো। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।   

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn