জেলা শহরসহ উপজেলা শহরের বিভিন্ন হাটবাজার দোকানপাঠ বন্ধ থাকায় বিরম্ভনায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষদের। জরুরী প্রয়োজনে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্বল্প দুরতের যানবাহনে পরিবহণ সেবা পেতে গুনতে হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। তাছাড়া কঠোর লকডাউনে কাজকাম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। কর্ম আর খাদ্যের সংস্থান না হলে দুর্ভোগ বাড়বে বৈকি কমবে না।অপরদিকে করোনাভাইরাস জনিত রোগ কোভিড ১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ এবং জন সচেতনতার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন বৃস্পতিবার সকালে যৌথ বাহিনীর এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মার্কেট পরিদর্শন করেন এবং জনগনকে সরকার ঘোষিত লকডাউন মেনে চলার আহবান জানান তারা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে যৌথবাহিনীর সভায় উপস্থিত ছিলেন রাখেন- সেনাবাহিনীর লেঃ কর্ণেল মাহবুব, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপিএম, ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল তছলিম এহসান পিএসসি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বিজন কুমার সিংহ, র্যাব ৯ সুনামগঞ্জ সিপিসি কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ , আনসার কমান্ডার মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
গণমাধ্যম কর্মীদের এক ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ১ জুলাই হতে ৭ জুলাই সরকার সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। এ সময় যে কেউ বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। যদি বিশেষ প্রয়োজনে বের হন অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে বের হবেন। নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়াা বাকী সব কিছু বন্ধ থাকবে। এসব আইন কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সাত দিনের এই লকডাউনে কর্মজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে আমরা তাদের তালিকা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছি তাদের অদ্যই সরকারি সহায়তার আওতায় নিয়ে আসা হবে। বিজিবির অধিনায়ক তসলিম এহসান বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার সব কটি সীমান্ত এলাকায় বিজিবির কড়া পাহাড়ায় রয়েছে কোন ভাবেই সীমান্ত পার হয়ে আসা যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপিএম বলেন পুলিশ সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থানের মধ্যে আছে আইন অমান্য করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।