সুনামগঞ্জ: গণধর্ষন মামলার প্রধান আসামী মনির আটক
সুনামগঞ্জে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষন মামলার প্রধান আসামী মনিরকে আটক করেছে পুলিশ। ২৪ এপ্রিল সোমবার রাতে সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের মঙ্গলকাটা বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের পর আটককৃত ধর্ষককে জেলহাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ। জানা যায়,গানের ওস্তাদ সামসুল আনোয়ার জুয়েলের মল্লিকপুর আবাসিক এলাকার বাসভবন থেকে ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় মোটর সাইকেলে করে ভিকটিম বাউল শিল্পী সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের বৈঠাখালী গ্রামস্থিত বাড়ীতে যান। পথিমধ্যে বৃষ্টিপাত শুরু হলে কুতুবপুর গ্রামস্থিত আম্বর পয়েন্টের একটি দোকানে তারা আশ্রয় নেন। এসময় ২ যুবক ভিকটিমকে ফলো করে তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে একটি লাইটেস গাড়ী নিয়ে ৪ যুবক ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ওস্তাদ জুয়েলকে এলোপাতাড়ীভাবে লোহার রডের দ্বারা বেদম মারপিঠক্রমে গুরুতর আহত করে ছাত্রী সঙ্গীত শিল্পীকে প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বকভাবে লাইটেসে উঠিয়ে নিয়ে অপহরন করে। অপহরনের পর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ৪ জনে মিলে পালাক্রমে ধর্ষন করে ভিকটিম শিল্পীকে। ধর্ষনের পর রাত ৩টা ২০মিনিটে ধর্ষনকারীরা ধর্ষিতাকে লালপুর বাজারে ফেলে রেখে মোবাইল ফোনে ধর্ষিতার বড় বোনকে জানায়। পরে ইউপি সদস্য মহিম উদ্দিনসহ পরিবারের লোকজন ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মিডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পুলিশ ধর্ষনের কাজে ব্যবহৃত একটি লাইটেস উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত লাইটেস গাড়িটির মালিক গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফুল মিয়া এবং ধর্ষক চালক চেয়ারম্যানের গাড়ীর ড্রাইভার বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে লালপুর গ্রামের মফিকুল ইসলামের পুত্র মনির মিয়া (২৫),আব্দুল হাসিমের পুত্র রুবেল (৩০), আব্দুস সালামের পুত্র শামীম (২২) সহ অজ্ঞাত আরো একজনকে আসামী করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৭/৯(৩) ধারায় মামলা নং ২২ (জিআর ১৩২/১৭) তাং ২১/৪/২০১৭ইং দায়ের করা হয়। সোমবার বিকেলে সদর থানা এসআই কায়েস এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মনিরকে গ্রেফতার করে। সুনামগঞ্জ সদর থানা ওসি (তদন্ত) মাসুক আলী এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন যেকোন মূল্যে সকল গণধর্ষনকারীদেরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার পূর্ব পর্যন্ত আমাদের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।