সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুটের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছেন তার পরিষদের সদস্যরা। সম্প্রতি জেলা পরিষদের ১০ জন সদস্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে লিখিতভাবে মুকুটের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনেন। যদিও এসব অভিযোগ মিথ্যে দাবি করে বুধবার নুরুল হুদা মুকুট পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এসব করা হচ্ছে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুকুট সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগেরও সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
সিনিয়র সচিব বরাবর অভিযোগ পত্রে জেলা পরিষদের সদস্যরা উল্লেখ করেন, জেলা পরিষদের মাসিক সভার কার্য বিবরণী সদস্যদের সরবরাহ না করেই চেয়ারম্যান মুকুট সাদা কাগজে চাপ প্রয়োগ করে সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে থাকেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সম্পূর্ণ অন্যায় ও আইন বহির্ভূতভাবে এমনকি কোরাম সংকটের মধ্যেও রাজস্ব ও এডিপির বরাদ্ধসমূহ একক সিদ্ধান্তে প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে আসছেন। জেলা পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ করেন, সদস্যদের পক্ষ থেকে বার্ষিক বাজেটের কোনো মতামত না নিয়ে এবং বাজেটের কপি সদস্যদের না দিয়ে এককভাবে তা নির্ধারণ করে রাজস্ব ও এডিপির বরাদ্ধ গ্রহণ করা হয়। দেশের অন্যান্য জেলা পরিষদের সদস্যরা প্রতি অর্থ বছরে যে পরিমাণ প্রকল্প বরাদ্ধ পান, সেখানে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্যরা নামমাত্র মাত্র ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ পান।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্যরা বিগত অর্থ বছর ২০১৭-২০১৮ ইংরেজি থেকে ২০২০-২০২১ ইংরেজি এর প্রকল্প বাস্তবায়ন সমূহের সার্বিক অবস্থার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা পরিষদের সুনাম ও ঐতিহ্য রক্ষার করার দাবি জানান। গত ২১ সেপ্টেম্বর সিনিয়র সচিব বরাবর করা অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষরকারীরা হচ্ছেন জেলা পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ তারিক হাসান , ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুস সহিদ মুহিত, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু আব্দুল্লাহ চৌধুরী, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাহতাব উল হাসান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জহিরুল ইসলাম, ৫ নম্বর (সংরক্ষিত) ওয়ার্ডের সদস্য মোছা. নূরুন্নাহার , ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. নাজমুল হক, ২ নম্বর (সংরক্ষিত) ওয়ার্ডের সদস্য ফৌজি আর বেগম, ৪ নম্বর (সংরক্ষিত) ওয়ার্ডের সদস্য সাবিনা সুলতানা ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুল আজাদ।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট বলেন, আমার পাঁচ বছর মেয়াদ আর দুই মাস পর শেষ হবে। এই পাঁচবছরে আমার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেননি। কিন্তু এখন অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, দুই মাস পর জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। জেলা আওয়ামী লীগেরও কাউন্সিল সামনে। এই দুই উপলক্ষ্যেকে সামনে রেখে আমাকে বিতর্কিত করার জন্য মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। এগুলো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ মুকুট বলেন, যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হোক। আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। তদন্তেই এগুলো মিথ্যে প্রমাণিত হবে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৮৬৭ বার