সুনামগঞ্জ সহ ৫টি জেলায় ন্যায্য মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি শুরু
সুনামগঞ্জ সহ ৫টি জেলায় প্রতি কেজি চাল ১৫ টাকা এবং প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা ন্যায্য মূল্যে ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভারীবর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে অকাল বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার সকল উপজেলায় বোরো ফসলহানির ঘটনায় বিশেষ ওএমএম কার্যক্রমের আওতায় চাল ও আটা বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব মো. নুরুল ইসলাম খান গতকাল ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার এই নির্দেশনা জারি করেছেন। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের নির্দেশনা পেয়ে বৃহস্পতিবারই সিলেটের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে এই নির্দেশনা প্রদান করেছেন খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ বণ্ঠন ও বিপণন বিভাগের উপ পরিচালক এ. এ সাঈদ। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, খোলা বাজারে বিক্রয় (ওএমএস) খাতে সুনামগঞ্জ জেলা শহর ছাড়াও জেলার ১১ টি উপজেলা সদরে প্রতিদিন ৩টি কেন্দ্রে ৩ মে. টন চাল ও ৩ মে. টন আটা টানা একমাস বিক্রি করা হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের নির্দেশনাটি বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সকল উপজেলা খাদ্য গোদাম কর্মকর্তার কাছে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন,‘বোরো ফসলহানি ঘটলেও সুনামগঞ্জের একজন কৃষকও অভূক্ত থাকবে না। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে আছে, থাকবে। আমরা জেলা প্রশাসন থেকে জরুরী ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছি। আমি গত বুধবার রাতে খাদ্য সচিবকে অনুরোধ করেছিলেন পর্যাপ্ত চাল ও ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য। চাল প্রদানের বিষয়টি বৃহস্পতিবারই অনুমোদন হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে জেলার ১১ উপজেলায় ৩৬০ মে. টন চাল, ১৬ লাখ টাকা ও ১৫০ বান্ডিল ঢেউটিন পাঠিয়ে দিয়েছি। আরো ২১০ মে. টন চাল আমার কাছে মওজুদ আছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ স্থানীয়ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে আজ থেকেই ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এসব চাল, নগদ টাকা ও ঢেউটিন বিতরণ করবেন।’