সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির ৬ মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে
এমএ রাজ্জাক-
সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনী (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর, ধরমপাশা) এলাকায় নতুন-পুরনো মিলিয়ে বিএনপির ৬ মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা মাঠে কাজ করছেন। তাদের প্রচার-প্রচারণায় জমে ওঠছে এ আসনের নির্বাচনী আলোচনা। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, একাদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির একাধিক নতুন ও পুরনো মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা মাঠে প্রচার-প্রচারণায় রয়েছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা পোস্টার, বিলবোর্ডের মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদের কর্মী-সমর্থকরাও প্রচারণায় সক্রিয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন ডা. রফিক চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সাংসদ নজির হোসেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দি লিটন।
জানা যায়, সম্ভাব্য এসব প্রার্থীরা স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রাখছেন। তারা এলাকায় যাচ্ছেন এবং সাধারণ মানুষের সাথেও যোগাযোগ রাখছেন। নেতাদের তোড়জোড়ে সুনামগঞ্জ-১ আসন এখন নির্বাচনী আলোচনায় সরগরম। এছাড়া, নেতাদের এমন সক্রিয় অবস্থানে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হয়ে ওঠছেন। এদিকে, স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এখনই নির্বাচন করতে আগ্রহী কোনো নেতার পক্ষ নিচ্ছেন না। কেন্দ্রের মনোভাব বুঝার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। তবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অনেকেই দলের পুরনো নেতাদের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না।
জামালগঞ্জ উপজেলার ভিমখালী ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘পুরনো নেতারা দলের দুঃসময়ে দল ছেড়ে চলে গেছেন, আন্দোলন সংগ্রামে তারা মাঠে ছিলেন না।’ মধ্যনগর থানার বংশিকুন্ডা ইনিয়নরে ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দলের দুর্দিনে যারা দলকে ফেলে চলে যায়, তারা যে আবার বিপদ এলে সটকে পড়বেন না, তার নিশ্চয়তা নেই।’ জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘সুনামগঞ্জ-১ আসনে এলাকায় অযোগ্য ও জনগসম্পৃক্ততা নাই এমন লোকদের মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে দলের ভড়াডুবি হবে। দুঃসময় থেকে যারা দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করছেন তাদের কে মনোয়ন দেয়া উচিত।’ তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, ‘মনোনয়নের চেয়ে এই মুহুর্তে বেশী প্রয়োজন সাংগঠনিক কর্মক্ষমতা বাড়ানো। দলের জন্য নিবেদিত ও যোগ্য নেতা মনোয়ন পেলে দল আরো বেগবান হবে, নেতাকর্মীদের মধ্যেও বিভাজন থাকবে না।’