সুলতানের মতোন আনিতাও কাছে টানতে জানেন!
বাবু, প্যারিস, ফ্রান্স-
সাধারণের মাঝে একটা ধারণা সবসময় তাকে নিয়ে – তিনি গাম্ভীর্যতা নিয়ে থাকেন, সাধারণ মানুষের সাথে মিশেন খুব কম,প্রাণখুলে কখনো কথা বলেন না।সাধারণের এই ধারণা কখনো “অনুযোগে” রুপ নেয়।বলাবাহুল্য- তিনি আসলেই পরিমিত কথা বলেন। যার কথা বলছিলাম তিনি সাবেক ডাকসুর ভিপি ও সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ’র স্ত্রী । তার আরো একটি পরিচয় আছে। তিনি মরমী কবি দেওয়ান হাসন রাজা’র নাতির মেয়ে।
এবারে ফ্রান্স সফরকালীন সময় কিছুটা কাছে থেকে তাকে দেখার ও কথা বলার সুযোগ হয়েছিল।এই গাম্ভীর্যতার আড়ালে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য তার যে অফুরান ভালবাসা তা বুঝতে খুব কষ্ট হয়নি। ইউরোপ সফরকালীন সময়ে হোটেলে আরামে থাকতে পারতেন কিন্ত তা না করে নিজ এলাকার মানুষজনের সাথে একত্রে থেকেছেন। হয়ত কোথাও থাকার যায়গার সংকুলান হয়নি;রাত-বিরাতে নেতাকর্মীদের ভিড়,বিনিদ্র রজনী কিন্ত মুখে একটুও ক্লান্তির ছাপ কিংবা বিরক্তিবোধ ছিল না।
কৌতুহল চেপে রাখতে পারিনি। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা আপনি নাকি খুব গাম্ভীর্যতা নিয়ে চলেন, সাধারণ মানুষ তো সবসময় তেমন অভিযোগই করে! সাধারণত অপরিচিত কারো সাথে না হাসলেও এবারে হেসেই উত্তর দিলেন, ” আসলে একেকজনের প্রকাশভঙ্গি একেকরকম। আমি হয়ত কথা বলি কম,তবে সাধারণ বলেন,আর যা-ই বলেন, কারো জন্যই আমার ভালোবাসার কমতি নেই। এটা ভুললেতো হবেনা, আমি একটি রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। মোটামুটি জন্ম থেকেই আমি নির্বাচন, মিছিল, মিটিং এসব দেখে অভ্যস্ত। তাই প্রয়োজনে মানুষের সাথে মেলামেশা আমার জন্য তেমন কঠিন কিছুনা “।
এবারের সফরের অভিজ্ঞতা লিখতে গিয়ে ফেইসবুকে মিসেস সুলতান খুব চমৎকারভাবে লিখেছেন -এবারের সফরে কত পরিবারের সাথে থাকা হলো, কত মানুষের সাথে মিশলাম ,মানুষের ভালবাসা পেলাম।
একসময়ের দাপুটে আর তুখোড় রাজনীতিবিদ সুলতান মনসুর কোন এক ষড়যন্ত্রের কারণে বর্তমানে আওয়ামীলীগ রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে আছেন। তবে জনগণ ও নেতাকর্মীদের হৃদয়ে তার আসন এখনো পাকাপোক্ত। সুলতান মনসুরকে নিয়ে কিছু জানতে চাইলে আনিতা হেসে ওঠে বললেন,” আমার চেয়ে আপনারা তাকে কোন অংশেতো কম চিনেননা! তবে কাছে থেকে দেখে যতটুকু বুঝি….বলতে পারি,তিনি সন্দেহাতীতভাবে একজন বংগবন্ধুপ্রেমিক, আক্ষরিক অর্থেই আপাদমস্তক একজন রাজনীতিববিদ, এবং কর্মীদের মূল্যায়ন তার কাছে শতভাগ। ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচন করার জন্য তার পূর্ণ মানসিক প্রস্তুতি রয়েছে। বাকিটা সবার দোয়া “।
ক্ষমতাশীন মন্ত্রী, এমপিদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধ অসৎ উপায় অবলম্বনের বিভিন্ন অভিযোগ থাকেই। এমনকি, নানান আর্থিক কেলেঙ্কারির কথাও শোনা যায়। এ প্রসংগে সুলতান পত্নি আনিতা ঠাট্টার ছলে বলেন, “পাঁচ বছর জামাই এমপি ছিলেন! বুঝলামইনা এমপির বউ কি জিনিষ!!” হেসে হেসে আরো বলেন,”আমার আজীবন আফসোস থাকবে,ঐসময়টায় আমি একটা দামী শাড়ী কিনিনি!” এমনকি ক্ষমতার যে দাম্ভিকতা তাও তার মাঝে ছিল অনুপস্থিত। সুলতান মনসুর যেভাবে নেতাকর্মীদের কাছে টেনে নেন সুলতান পত্নী আনিতাও সাধারণ মানুষদের এমনভাবে কাছে টেনে নিবেন এমনটাই তার কাছে প্রত্যাশা।