সোহাগ-জাকিরের কোনো গ্রুপ নেই: কাদের
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগে কোনো গ্রুপিং থাকবে না। গ্রুপিং করে কেউ নেতা হতে পারবে না। সোহাগ-জাকিরের কোনো গ্রুপ নেই এবং থাকবেও না। যোগ্যতা দিয়ে নেতা হতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ করে কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ড চলতে পারে না। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে ছাত্রলীগ কোনো কর্মকান্ড করবে এমনটা আশা করেন না তিনি। ছাত্রলীগকে মানবতার জন্য কাজ করতে নির্দেশ দেন তিনি।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদ্রোহীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে শেখ হাসিনার স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। যে কোনো নির্বাচনে বিদ্রোহীদের কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। কেউ বিদ্রোহী হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বহিস্কার করা হবে। কোনো অপকর্ম মেনে নেওয়া হবে না। আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নামে পত্রিকার পাতায় চাঁদাবাজির খবর আসে। আমাদের সরকারের এতো উন্নয়ন ও অর্জন সব ম্লান হয়ে যায়। তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, কালাপাহাড়ের মতো এসব দানবের অস্তিত্বই রাখা হবে না।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক ও উগ্রবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বিএনপি বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য জঙ্গিবাদী কর্মকান্ডের আশ্রয় নিচ্ছে। এসব করে সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করা যা না এবং সরকারকে তার লক্ষ্য থেকে সরানো যাবে না। তরুণ প্রজন্মকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য হাত তুলে শপথ করিয়ে মন্ত্রী বলেন, উগ্রবাদীদের চেয়ে মাদক কম ক্ষতিকর নয়। তরুণদের সম্ভবনাময় জীবনকে শেষ করে দিচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে সামজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদককে ঘৃণা করার আহবান জানান তিনি। জবি ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং জবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ।