সৎমা শাওনকে যা বললেন নুহাশ
প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী, পরিচালক ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন। সৎমা শাওন সম্পর্কে সাধারণত কখনোই কোনো মন্তব্য করতে শোনা যায় না নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের চার ছেলে-মেয়েকে। সতীনের বিষয়ে উচ্চবাক্য করতে শোনা যায় না লেখকের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিনকেও। তবে সম্প্রতি একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে মুখ খুলেছেন হুমায়ূন আহমেদের প্রথম পক্ষের ছেলে-মেয়েরা। সম্প্রতি শেষ হয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ‘দেবী’ ছবির শুটিং। অভিনয়ের পাশাপাশি ‘দেবী’র প্রযোজনায়ও রয়েছে জয়ার নিজস্ব প্রোডাকশন হাউজ ‘সি তে সিনেমা’। হুমায়ূন আহমেদের ‘দেবী’ উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে ছবিটি নির্মিত হয়েছে সরকারি অনুদানে। কোনো লেখকের গল্প বা উপন্যাস অবলম্বনে ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমতির একটা ব্যাপার থাকে। সেক্ষেত্রে ‘দেবী’ নির্মাণের আগে হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী শাওনের অনুমতি নেয়া হয়েছে বলে অনেক আগেই জানিয়েছিলেন ছবির নায়িকা ও প্রযোজক জয়া আহসান। মঙ্গলবার তারই প্রেক্ষিতে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের প্রথম পক্ষের ছেলে নুহাশ হুমায়ূন। সৎমা শাওনকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, ‘শাওন আমার বাবার ‘ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টির’ (গল্প, উপন্যাস, তার সৃষ্ট যেকোনো কিছুর) একমাত্র উত্তরাধিকার না। তাই আমাদের চার ভাই-বোনের অনুমতি ছাড়া, শুধুমাত্র শাওনের অনুমতি নিয়ে, হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি নিয়ে কাজ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। হুমায়ূন আহমেদের সমস্ত সৃষ্টি এখন তার উত্তরাধিকারদের স্বত্ত্বাধিকারে। আমাদের চার ভাই-বোনের অনুমতি ছাড়া এই সিনেমা মুক্তি দেয়ার কাজ সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত ছিল।’
নুহাশ আরও লেখেন, ‘যখন ‘দেবী’র প্রযোজক জয়া আহসান বিষয়টি সম্পর্কে জানলেন, তিনি আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। আমাদের চার জনের অনুমতি নেয়ার জন্য আইনগত সব ব্যবস্থা নিলেন। আইনগত অনুমতি নেয়ার আগ পর্যন্ত ‘দেবী’র প্রচারণার কাজ বন্ধ রেখেছিলেন জয়া। তিনি আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং আমাদেরকে তার দিকের ব্যাখ্যা দিলেন। তখন আমাদের মনে হয়েছে, এটা তার একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। তিনি যে এটা সংশোধন করতে চাইছেন, এটা তার একটা দায়িত্বশীল আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ।’ শুধু নুহাশই নন, এর আগে ‘দেবী’র নির্মাণ নিয়ে আপত্তি তোলেন হুমায়ূন আহমেদের মেয়ে শিলা আহমেদও। কয়েকদিন আগে দেয়া একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানতে চান, ‘দেবী’ ছবি নির্মাণের অনুমতি কে দিয়েছে। তারা চার ভাই-বোন দেননি বলে উল্লেখ করেন শিলা। তাদের অনুমতি ছাড়া ছবিটি কীভাবে সরকারি অনুদান পেল বলেও প্রশ্ন রাখেন হুমায়ূন কন্যা।