সুনামগঞ্জ :: সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় ফার্মেসী ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ডক্টর চেম্বারের আড়ালে ভূয়া ডাক্তারে সয়লাব। বছরের পর বছর ধরে ড্রাগ সুপার অর্থের লেনদেন করায় ঐসব দোকান গুলোর বিরোদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আর ড্রাগ লাইন্সেস না করায় বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বেশি লাভের আশায় বিক্রি হচ্ছে নাম সবর্স্ব নিন্ম মানের ঔষধ কোম্পানী ও ভারতীয় ঔষধ সীমান্তে এলাকায় বাজার গুলোতে ফামেসীর মালিকগন। সেই সাথে বাড়ছে নামসবর্স্ব ডাক্তারগনও। অনেক অসুস্থ রোগী ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হলেও থেকে যাচ্ছে সবার চোখের আড়ালে।

জানাযায়,জেলায় তাহিরপুর,জামালগঞ্জ,দিরাই,শাল্লা,ছাতক,দোয়ারা বাজার,বিশ্বাম্ভরপুর সহ ১১টি উপজেলায় নির্দিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ না থাকায় দিন দিন গড়ে উঠেছে নাম সর্বস্ব ফার্মেসী ও ডায়াগনস্টিক সেন্টর এন্ড ডক্টর চেম্বার। জেলায় প্রায় ২শতাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টর এন্ড ডক্টর চেম্বার ও ২হাজারের অধিক ফামের্সী রয়েছে। এসব ফামেসীর মালিকদের আবার নেই কোন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র,প্রশিক্ষন ও ড্রাগ লাইন্সেস। এছাড়াও ফামেসীতে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদ উত্তিন্ন,বিক্রিয় নিশিদ্ধ নিন্ম মানের ঔষধ,নেশা জাতীয় ট্যাবলেট এবং ভারতীয় ঔষধ বিক্রি হচ্ছে অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসন পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় জেলার সীমান্ত এলাকা সহ সর্বত ভেঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে আর দিন দিন বেড়েই চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টর এন্ড ডক্টর চেম্বারের ভুয়া ডাক্তার ও ফার্মেসীর দোকান। এতে করে সু-চিকিৎসার পরিবর্তিতে অপচিকিৎসা শিকার হচ্ছে জেলার ১১টি উপজেলা ও সীমান্ত এলাকার লাখ লাখ অসহায় সাধারন জনগন।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বালিয়াঘাট (নতুন বাজার) বাজারে ফার্মেসীর আড়ালে ডাক্তারী করছে ৬ষ্ঠ শ্রেনী পাশ এবং কোন প্রশিক্ষন নেই এমনকি ফার্মেসীর লাইন্সেসও নেই সেই সব লোকজন। এই বাজারে রয়েছে ৭-৮টির বেশির ফামেসীর দোকান। নতুন বাজার ছাড়াও এই উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৩শতাধিক ফামেসীর মালিক ও কর্মচারীদের ফার্মাসিষ্টের প্রশিক্ষন ও ড্রাগ লাইসেন্স নেই,নেই কোন অভিজ্ঞতা। অনেকেই নিজেদের ক্ষমতার দাপটে ঠিকে আছে। মাঝে মধ্যে ড্রাগ সুপার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালিত হলে ৩-৪হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে র্দীঘ দিন ধরে। ঐসব এলাকার অসহায় সাধারন মানুষ না বুঝায় অধিক দামে বিক্রি করছে নিন্ম মানের ঔষধ।

তাহিরপুর উপজেলার নতুন বাজারের স্থানীয় লোকজন জানান,আমরা এত বেশি বুজি না ভাই এখানের ফামের্সীর মালিক ও ফামের্সীতে যারা থাকে তারাই দোকানের সামনে অমুক পাশ তমুক পাশ ডাক্তার সাইন বোর্ডে লিখে রাখে। আমরা ত আর জানি না যা কয় তাই বিশ্বাস করি। অনেকেই আছে প্রাইমারী পাশ করেছে এখন ফার্মেসী দিয়া ডাক্তারী করছে। ভাল চিকিৎসা করতে গেলে উপজেলা সদরে যাইতে হইব তাই তাদের কাছ থেকে ঔষধ নিয়া খাই। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূনেন্দ্র দেব জানান-ভুয়া ডাক্তার,কবিরাজ ও ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন দোকান চিহ্নিত করে তাদের বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,ফামেসী একটি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান খুব শ্রীর্ঘই ফামেসীর মালিক ও কর্মচারীদের নির্দিষ্ট ফার্মাসিষ্টের প্রশিক্ষন ও ড্রাগ লাইসেন্স আছে কি না তার খোঁজ নেওয়া প্রয়োজন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn