হাওরের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কৃষক নেত্রী শামীমার বক্তব্য সরকারী দফতরের প্রত্যাখান
গতকাল জেলার কয়েকটি হাওর অঞ্চল পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেত্রী এডভোকেট শামীমা শাহরীয়ার টানা বর্ষনে সুনামগঞ্জ জেলার হাওরের অঞ্চলের কৃষকদের ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান যা উল্লেখ করেছিলেন সরকারী পর্যায়ে সেই পরিসংখ্যান অস্বীকার করা হয়েছে। শামীমা শাহরীয়ার আজ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে একথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল আমার একটা স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছিলাম জেলার প্রায় ৪০ ভাগ ফসল পানির নীচে। আমি এই তথ্য সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে জানিয়েছি। উচ্চ পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ে যখন জানতে চায় তারা বলেন তথ্যটি সঠিক নয়। এ হিসাব নাকি আরো কম। গতবছরও বাংলাদেশ কৃষক লীগের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া তথ্য আর সরকারী তথ্যের অনেক পার্থক্য ঘটেছিল।‘ তিনি স্বীকার করেন তার দেয়া তথ্যটি ভুল হতে পারে। জেলা প্রশাসনের নিকট তাই তিনি অনুরুধ করেছেন সঠিক তথ্যটি যেন জনগনকে সরবরাহ করা হয়। যারা বিভিন্ন বেসরকারি রিপোর্ট করেন তিনি তাদেরকে অনুরুধ করেন সরকারি রিপোর্টের ব্যাপারে তারা যেন সজাগ থাকেন। কারন সরকারী দফতরের হিসাবে সবসময় গলদ থাকে। চোখ কান খোলা রাখলে হিসাবের গড়মিল সহজেই ধরা পরে। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরুধ করেন সরকারি হিসাবে অন্ততঃ সত্যিকারের চিত্র যেন তারা তুলে ধরেন। শামীমা শাহরীয়ার জেলার মাননীয় সকল সাংসদকে আবারও বিনীত ভাবে অনুরুধ করেন অন্তত কৃষকেদের স্বার্থে এই একটি মাত্র ইস্যুতে তারা যেন একজায়গায় বসেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সঠিক তথ্যটা তুলে ধরেন। সাধারণ মানুষরা এই দূর্দিনে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা করে।