হাওর রক্ষা বাঁধের টাকা কাউয়াদের পেটে
হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি আর লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। এমপি রতন সোমবার দুপুরে বলেন,‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, পিআইসি ও প্রভাবশালী ঠিকাদারসহ একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের টাকা লুটে খেয়েছে। হাওর রক্ষা বাঁধের টাকা কাউয়াদের পেটে। কাউয়াদের দুর্নীতির কারণেই হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হয়নি।’ তিনি আরো বলেন,‘ এ নিয়ে বার বার কথা বলার পরেও মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ নিয়ে জাতীয় সংসদেও কথা বলেছি। কিন্তু কোনো কাজই হয়নি। সঠিক সময়ে ও সঠিকভাবে বাঁধ নির্মাণ না হওয়ার কারণে কৃষকদের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।’ এমপি রতন পানি সম্পদমন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলেন,‘ মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন, ‘পানি ওভার
ফ্লো হওয়াতে বাঁধ ডুবে গিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করেছে।’ এটা মোটেও সঠিক নয়। যেখানে ১৮ বাঁেধর কাজই করা হয়নি সেখানে পানির ওভার ফ্লো হওয়ার প্রশ্নে আসে কেন? পিআইসি ও ঠিকাদারদের রক্ষা করার জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রী এসব কথা বলছেন। এমপি রতন বলেন, মন্ত্রীর কথা মত ৬ ফুট উচ্চতায় বাঁধ নির্মাণ করার পর হাওরের ফসল ডুবলে কৃষক ও আমাদের কোন দুঃখ ছিল না। কিন্তু ঠিকাদাররা অনেক জায়গায় কাজই শুরু করেনি। লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আমার বাসায় হামলা করেছে ওই চক্রটি। যারা বাঁধের টাকা লুটপাট করেছে এরা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নয়। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন এরা ওই দলের নেতা সাজে এবং লুটপাট করে। তিনি জরুরি ভিত্তিতে এ দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। এমপি রতন বলেন, হাওরের মানুষকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।