আল-হেলাল, সুনামগঞ্জ থেকে : আওয়ামীলীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলীয় নেতাকর্মীদের উপর গ্রেনেড ও বোমা বিস্ফোরনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবী জানিয়ে রোববার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা সদর সুনামগঞ্জসহ ১২টি উপজেলা সদরে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার বিকেল ৫টায়,জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে,বিএনপি জামাত জোট সরকারের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় মদদে ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হাছনরাজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ ৫ নির্বাচনী এলাকা ছাতক দোয়ারাবাজার থেকে নির্বাচিত ৪ বারের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জননেতা মুহিবুর রহমান মানিক।

জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট আফতাব উদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পিপি ড.খায়রুল কবির রুমেন এডভোকেট, জিপি এডভোকেট আখতারুজ্জামান সেলিম,সাবেক পিপি এডভোকেট রইছ উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ড এর সাবেক কমান্ডার হাজী নুরুল মোমেন, ছাতক পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ মজনু, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নান্টু রায়, এডভোকেট হায়দার চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, অর্থ সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক শামীম, আওয়ামীলীগ নেতা সুবীর তালুকদার বাপ্টু, প্রভাষক শাহ মোঃ আবু নাসের, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী উজ্জল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মফিজুল হক,সদর থানা কমিটির আহবায়ক মোবারক হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের বিভাগীয় সমন্বয়কারী প্রদীপ পাল নিতাই,এডভোকেট রুমান আজাদ, এডভোকেট মাহবুব সাদী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মলয় চক্রবর্ত্তী রাজু ও ঝন্টু তালুকদারসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন ও সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

সুনামগঞ্জ ৫ নির্বাচনী এলাকা ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ কর্মসুচিতে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জননেতা মুহিবুর রহমান মানিক এমপি,ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান,সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ মজনু ও দোয়ারাবাজার থানা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ ইদ্রিছ আলী বীরপ্রতিক।

দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট সোহেল আহমদ ছইল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক প্রদীপ রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।

ধর্মপাশা উপজেলা সদরে পৃথক দুটি কর্মসুচি পালিত হয়। সুনামগঞ্জ ১ নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকন ও সাধারন সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিছ এবং সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় শামীম আহমেদ মুরাদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তাহিরপুর উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন খান,সাধারন সম্পাদক অমল কর ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর খোকন প্রমুখ নেতৃত্ব দেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি জননেতা সিদ্দিক আহমদ। আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে ও রেজাউল করিম রিজুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদরে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী তহুর আলী,আওয়ামীলীগ নেতা হাসনাত হোসেন,জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন,শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহীন,সাবেক পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান রফিক খান প্রমুখ নেতৃত্ব দেন।

বক্তারা বলেন,নেত্রীর উপর গ্রেনেড হামলার ১৮টি বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। এরপরও বাংলাদেশ থেকে জঙ্গীবাদ এখনও পুরোদমে নির্মূল হয়নি। বরং জামাত বিএনপির সাথে একীভূত হয়ে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুনরুপে জঙ্গীরা নাশকতা চালানোর পরিকল্পনায় লিপ্ত হয়েছে। তারা জঙ্গীবাদ নির্মূলে আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবাণ জানান।

জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গণ মানুষের নেতা মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, আর বেনেফিসারী ও অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা নয় বরং ৭৫ এর পূর্বে ও পরে যারা সুনামগঞ্জ আওয়ামীলীগের জন্য জেল জুলুম হুলিয়াকে অ¤øান বদনে আলিঙ্গন করেছেন সেইসব ত্যাগী বঞ্চিত উপেক্ষিত মূলধারার নেতাকর্মী ও তাদের প্রজন্মের দ্বারা জেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলা আওয়ামীলীগকে পূণর্গঠন করতে হবে। অন্যথায় নির্বাচনের মাঠে সুবিধাবাদীদের খুজে পাওয়া যাবেনা। তিনি বলেন,২০১৭ সালের দুর্যোগে এবং এইবারের মহাপ্লাবনে জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু নিজেই হাওরাঞ্চল সফর করেননি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে দূর্গত মানুষকে সাধ্যমতো সহায়তা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জকে ভালবাসেন। সুনামগঞ্জের মানুষকে ভালবাসেন। আমরা জেলা আওয়ামীলীগ আগামী নির্বাচনে জেলার ৫টি আসন নেত্রীকে উপহার দিয়ে নেত্রীর ঋন শোধ করতে চাই। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গিয়ে আজ বিএনপির নেতারা আমাদের সরকারের দূর্নাম রটাচ্ছেন। তারা গুজব ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশ নাকি শ্রীলংকা হয়ে যাবে। আমরা বলতে চাই জাতির জনকের খুনীরাও বিদেশে বসে বিভিন্ন সময় শেখ হাসিনার সরকারকে বিপদগ্রস্থ করার চেষ্টা করেছে কিন্তু পারে নাই। আজকে বিদেশে বসে তারেক রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পদাংক অনুসরণ করে সেই পথেই হাটছেন। তিনি লন্ডনে বসে জাতির জনকের বিরুদ্ধে আস্ফালন করছেন। দেশের অভ্যন্তরে গুজব রটিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত আসামীর কথায় দেশের জনগনতো দূরের কথা বিএনপির নেতাকর্মীরাও কান দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করিনা।

সভার শুরুতে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মীনি ও মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান আইভি রহমানসহ নিহতদের স্মরণে দাড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এসএম কিবরিয়া ও জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপিসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে গ্রেনেডে ও বোমা বিস্ফোরন ঘটনায় হতাহতদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে মুহিবুর রহমান মানিক বলেন,দিরাইয়ের গ্রেনেড হামলায় নৌকাচালক আব্দুল ওয়াহিদকে হারিয়েছি।

হবিগঞ্জে গ্রেনেডের বিস্ফোরনে আমাদের সফল অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সাহেবকে জীবন দিতে হয়েছে। বিশ্ববরেণ্য পার্লামেন্টেরিয়ান সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি একাধিকবার গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে গ্রেনেডের ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়ানোর ধারাবাহিকতায় মৃত্যুবরন করেছেন। বৃটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপরও গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। প্রত্যেকটি ঘটনার সাথে জামাত বিএনপি জোটের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল। তারা চেয়েছিল রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাস করে আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করতে তারেক রহমান ও হাওয়া ভবনের ইশারায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি খুনীরা বর্তমানেও বসে নেই। এখনও বিদেশে বসে বঙ্গবন্ধুর খুনি ও ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার গডফাদাররা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কিলিং মিশন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনী ও গ্রেনেড হামলাকার গডফাদাররা দেশে বিদেশে যে যেখানেই থাকুকনা কেন তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে সরকারের প্রতি আহবাণ জানান।

সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট আফতাব উদ্দিন আহমদ বলেন,সুনামগঞ্জ সদর আসনে দলীয় এমপি না থাকায় আমরা দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকরা বঞ্চিত রয়েছি। বঞ্চিত রয়েছে এই আসনের সাধারন মানুষ। আমাদেরকে সুকৌশলে নেতৃত্বশূন্য করে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি চাই আগামী নির্বাচনে আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিন। আমাকে ভাল না লাগলে আলহাজ্ব মতিউর রহমান অথবা ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমনকে মনোনয়ন দিন। দলকে বাঁচাতে নৌকার যারা প্রকৃত কান্ডারী তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়া উচিত বলে ্আমি মনে করি। দলের নেতা ব্যতিত অন্য কাউকে এমপি বানিয়ে আওয়ামীলীগের কোন লাভ অতীতে হয়নি ভবিষ্যতেও হবেনা।

জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমন বলেন, দুর্যোগে দুর্বিপাকে এমনকি মহাপ্লাবনে যে দলটি মানুষের পাশে থাকে সেই দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। এই দলের নেতা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বাংলার দু:খী মানুষের পাশে বটবৃক্ষের ন্যায় ছায়া দিয়ে সাধারন মানুষকে ভালবেসে রাজনীতি করে গেছেন। জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক করোনা মহামারী ও মহাপ্লাবনে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার মানবিক মূল্যবোধকে সমুন্নত করে দুর্যোগ কবলিত মানুষকে সরজমিনে দেখার পাশাপাশি সিলেট সার্কিট হাউজে বসে বানভাসীদের পুনর্বাসনে তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নিয়ে সেনাবাহিনী পাটিয়ে ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করেছেন। আমরাও নেত্রীর নির্দেশে আওয়ামীলীগের প্রতিটি কর্মী মানুষের পাশে থেকে দুর্যোগে মানুষকে সহায়তা দেয়ার সর্বোত চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন,আগামী মাস থেকেই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দলের সম্মেলন এর কাজ শেষ করতে আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন আর বসে থাকার সময় নেই। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা দলকে প্রস্তুত করতে চাই। সেজন্য প্রয়োজন সৎ যোগ্য দক্ষ ও তারুণ্য নেতৃত্ব। তিনি দলীয় সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমানের প্রশংসা করে বলেন, জীবনের শেষ সায়ান্হে এসে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ দলের প্রতিটি কাজে আমাকে সদোপদেশ দিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন। তাই নবীন প্রবীণের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমন বলেন, দুর্যোগে দুর্বিপাকে এমনকি মহাপ্লাবনে যে দলটি মানুষের পাশে থাকে সেই দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। এই দলের নেতা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বাংলার দু:খী মানুষের পাশে বটবৃক্ষের ন্যায় ছায়া দিয়ে সাধারন মানুষকে ভালবেসে রাজনীতি করে গেছেন। জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক করোনা মহামারী ও মহাপ্লাবনে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার মানবিক মূল্যবোধকে সমুন্নত করে দুর্যোগ কবলিত মানুষকে সরজমিনে দেখার পাশাপাশি সিলেট সার্কিট হাউজে বসে বানভাসীদের পুনর্বাসনে তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নিয়ে সেনাবাহিনী পাটিয়ে ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করেছেন। আমরাও নেত্রীর নির্দেশে আওয়ামীলীগের প্রতিটি কর্মী মানুষের পাশে থেকে দুর্যোগে মানুষকে সহায়তা দেয়ার সর্বোত চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন,আগামী মাস থেকেই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দলের সম্মেলন এর কাজ শেষ করতে আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন আর বসে থাকার সময় নেই। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা দলকে প্রস্তুত করতে চাই। সেজন্য প্রয়োজন সৎ যোগ্য দক্ষ ও তারুণ্য নেতৃত্ব। তিনি দলীয় সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমানের প্রশংসা করে বলেন, জীবনের শেষ সায়ান্হে এসে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ দলের প্রতিটি কাজে আমাকে সদোপদেশ দিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন। তাই নবীন প্রবীণের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn