জগন্নাথপুর: জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নবজাতক জন্ম দিয়ে মা পালিয়ে যাওয়া সেই কন্যা শিশুকে নিয়ে রহস্যরের জট খুলেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করছেন। পুলিশ অভিযুক্ত আলী আমজদকে গ্রেফতার করে বুধবার সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত আলী আমজদ ওই কিশোরির খালাতো বোনের স্বামী (দুলাভাই)। তার ঐ কিশোরির বয়সী এক মেয়ে ও ছেলে রয়েছে। তবে স্ত্রী সৌদি আরবে থাকেন। একাধিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছররে ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজলোর কলকলিয়া ইউনিয়নের বালিকান্দি গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে আলী আজমদ (৩২) স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে ওই কিশোরি অর্থাৎ তার শ্যালিকা (স্ত্রীর খালাতো বোন) স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রী (১৪)কে বেড়ানোর কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে ১ র্মাচ পর্যন্ত রেখে র্ধষণ করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে র্ধষণরে ঘটনা কাউকে না বলতে বাধ্য করে। বর্তমানে ওই কিশোরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি রয়েছে।
এর আগে শনিবার বিকেলে সন্তান জন্মের পর নবজাতক কন্যা শিশুকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিঁড়িতে রেখে পালিয়ে যায় ওই কিশোরি। পরে সোমবার জগন্নাথপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা বিলাল হোসেন কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করলে শিশুটিকে ‘ছোটমনি নিবাস’ সিলেটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, আসামীকে বুধবার সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য নবজাতক ভূমিষ্ট হওয়া এক কন্যা শিশুকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় শিশুটির মা ও নানি। শনিবার সন্ধ্যায় রাশিয়া বেগম (৫০) নামের এক মহিলা নবজাতক শিশুটিকে হাসপাতালের সিঁড়ির উপর দেখতে পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান এবং শিশুটিকে লালন পালন করেন। পরে সোমবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় জগন্নাথপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা বিলাল হোসেন কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করেন। পরে তিনি শিশুটিকে সিলেটের ‘ছোটমনি নিবাস’ পাঠিয়েছেন।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৮১ বার