হাসপাতালে শুয়ে ফরহাদ মজহারে’র হুমকি !
পিনাকী ভট্টচার্যের (ফেসবুক থেকে নেয়া)-
গতকাল কথা প্রসঙ্গে আমি ফরহাদ ভাইকে বললাম, অনেকেই অনুমান করছেন-আশঙ্কা করছেন যে, আপনি হয়তো আগের মতো করে আর লিখবেন না। অপহৃত অবস্থা থেকে যারা ভাগ্যগুণে ফিরে আসে তারা চুপ হয়ে যায় দেখেই অনেকের এই আশঙ্কা। এতক্ষণ শুয়েই কথা বলছিলেন, আমার কথা শুনে বিছানায় উঠে বসতে চাইলেন। আমি আর ফরিদা আপা ফরহাদ ভাইকে উঠে বসতে সাহায্য করলাম। একটু সুস্থির হয়ে ফরহাদ ভাই বললেন, আমি ট্রমাটাইজড, ফিজিক্যালি এবং মেন্টালি টর্চার্ড এতে কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু আমি ভীত নই। যারা ফিরে এসে চুপ হয়ে যায়, তারা কেন চুপ হয়ে যায় তা আমি এখন বুঝতে পারি। এটা যারা বুঝতে চান, তাদের এই ভয়ানক আর দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
লেখালেখির মতো অবস্থায় যেতে আমার কিছুটা সময় লাগবে। আপনি ডাক্তার তাই বুঝতে পারবেন, আজ সকালে ফরিদার ল্যাপটপে একটা জিনিস পড়তেছি, আমি মনে হয় দশবার ঐ একই লেখা, একটা প্যারা পড়লাম কিন্তু বুঝতে পারতেছিলাম না কী লেখা আছে, আর আমি কী পড়তেছি। কমিপ্রহেন্ড করতে পারতেছিলাম না। এই অবস্থা কতদিন থাকবে সেইটা তো বুঝতে পারতেছি না। তবে এই অবস্থা কেটে গেলেই আমি আবার লিখতে শুরু করবো। আমি সুস্থ হয়ে আবার লিখতে শুরু করলে তারা মূল্যায়ন করতে পারবেন, আমি কেমন লিখছি। তবে একটা কথা আমার তরফ থেকে আমার পাঠকদের বলা দরকার, তা হচ্ছে, আমাকে হয়তো নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যাবে, কিন্তু পরাজিত করা যাবে না। এ হুমকিটা আমি দিয়েই রাখলাম।’