হাসি হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা প্রাক্তন স্বামীর
ফ্লোরের টাইলসের সঙ্গে উপর্যুপরি মাথায় আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে খাটের নীচে থাকা ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়। এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতলে ভর্তি করে তাকে। অবশেষে নিউরোলজী সায়েন্সের আইসিওতে লাইফ সাপোর্টে ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত ৭ ই মে মারা যান হাসি। হত্যাকাণ্ডের চার মাস আগে সোহেল রানার সঙ্গে বিয়ে হয় হাসি আক্তারের।বিয়ের পর পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোহেলসহ তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেয় হাসির। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। বাধ্য হয়েই হত্যাকাণ্ডের দুই মাস আগে সোহেলকে ডিভোর্স দেন। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে হাসি আক্তার মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তারপরও বেঁচে থাকার তাগিদে তিনি একটি এনজিওতে চাকরি নেন। সাভার থানার আমীন বাজারের শিবপুরে নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করেন। ডির্ভোস হলেও হাসির সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখতে নানা কৌশল অবলম্বন করে সোহেল। অফিসে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করে তাকে। এমনকি টাকাও দাবি করে। এসব বিষয়ে কঠোর হলে হাসিকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল। অবশেষে বাসায় গিয়ে হাসিকে হত্যা করে সে। এ ঘটনায় হাসির মা বাদি হয়ে সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পলাতক সোহেল রানাকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।গ্রেপ্তার সোহেল রানা ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার নবীনগর থানার বিদ্যাকুট গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র।