হিলারি হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিলেন!

শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীকে ফোন করেছিলেন  তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তবে তাতে সায় দেননি প্রণব। উল্টো শেখ হাসিনাকে বিষয়টি জানিয়ে তার পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রণব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক ভারত সফরের সময়ই রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’। ভারতীয় সাংবাদিক কে. পি নায়ারের এ বিশ্লেষণধর্মী লেখায় উঠে এসেছে ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমতার মসনদে বসাতে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ষড়যন্ত্রের এই ভয়াবহ কাহিনী।

টেলিগ্রাফের দাবি শেখ হাসিনাকে সরাতে সেই ‘হিলারি-ইউনূসের ষড়যন্ত্র’ নস্যাত করেছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী। হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রণব মুখার্জীকে ফোন করেছিলেন হিলারি ক্লিনটন। সেই সঙ্গে দেশের নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষেত্রে ভারতকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান হিলারি।

কলকাতাভিত্তিক পত্রিকা টেলিগ্রাফের প্রথম পাতায় প্রকাশিত সাংবাদিক কে.পি নায়ারের বিশ্লেষণধর্মী ওই লেখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পটভূমি এবং প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। সেখানে লেখক বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ব্যর্থ হয়ে যাওয়া সেই ‘কালার রেভ্যুলেশনে’র অজানা কাহিনী সম্পর্কে বলেছেন। যার উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ইউনূসকে বসানো। যে রেভ্যুলেশন সফল করতে কলকাঠি নেড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও নোবেলজয়ী ড. ইউনূস।

লেখায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১১ সালে প্রণব মুখার্জীকে ফোন করেছিল তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক থাকার সুবাদে ফোনে এই অনুরোধ জানান হিলারি। প্রণব মুখার্জীর দফতরের সূত্র ব্যবহার করে লেখায় জানানো হয়, হিলারির এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। উল্টো শেখ হাসিনার অধীনে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলে ভারত।

বলা হয়, ২০০৬ সালে বাংলাদেশে থাকা জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর বিকল্প একটি শক্তিকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। এর স্বপক্ষে যুক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে এই রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে না। শেখ হাসিনার বিকল্প হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরাসরি অথবা কেয়ারটেকার সরকারের মাধ্যমে ক্ষমতায় আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি।

পরবর্তীতে ২০১১ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হলে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের বন্ধুদের সহায়তায় বাংলাদেশে আবারও শেখ হাসিনা সরকার পতনের জন্য কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময়ই শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রণব মুখার্জীর সাহায্য চান হিলারি ক্লিনটন। সেই সঙ্গে ভারতের পক্ষ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান তিনি। অন্যদিকে বাংলাদেশে বিভিন্ন গোষ্ঠীর অর্থায়নে সরকার বিরোধী ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে মানববন্ধন, আন্দোলন শুরুর চেষ্টা করা হয়। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রদান করা হয় আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর। এ সময় শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বেশ কিছু সংগঠনের পক্ষ থেকে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি।

প্রণব মুখার্জীর দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়, হিলারি সঙ্গে কথা হবার কয়েকদিনের মধ্যেই প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রণব মুখার্জী শেখ হাসিনার কাছে তার অবস্থান পরিষ্কার করেন।

প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পর্ক যতটা না রাজনৈতিক, তার থেকেও বেশি পারিবারিক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন অস্থায়ী সরকারকে সহায়তার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রেখেছিলেন প্রণব মুখার্জী। কিন্তু শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সম্পর্ক সবচাইতে দৃঢ় হয় ১৯৭৫ সালে। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের কাছে প্রণব মুখার্জীর স্ত্রী ছিলেন দ্বিতীয় মায়ের মতো। আর সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণব মুখার্জীর স্ত্রীর মৃত্যুতে ছুটে গিয়েছিলেন ভারতে। সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, হয়ত কয়েক শ’ চুক্তি নিয়ে কাজ করতে ভারত সফরে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে প্রণব মুখার্জী রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় শেষ ভারত সফরটিকেও বেশ গুরুত্বসহকারে দেখছেন তিনি।

কেপি নায়ার তার বিশ্লেষণধর্মী লেখায় বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে লিখেছেন, সাধারণ ও প্রচলিত রাষ্ট্রীয় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। সম্ভবত ৪৫ বছরের পুরনো ব্যক্তিগত কূটনৈতিক এই সম্পর্কের সাম্প্রতিক সর্বশেষ দৃষ্টান্ত রবিবারের এই নৈশভোজ। এই নৈশভোজের মাধ্যমে প্রণব মুখার্জীর ওপর অর্পিত অনেক দায়-দায়িত্বসমূহ সামনে চলে আসবে যা ১৯৭১ সালের ১৫ জুন ইন্দিরা গান্ধির থেকে তার ওপর এসেছে। ঐতিহাসিক ওই দিনে তৎকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার মুজিবনগরকে একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক সরকারের দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে ইন্দিরা গান্ধী প্রণব মুখার্জীকে রাজ্য সভায় আলোচনা শুরু করতে বলেছিলেন।

বাংলাদেশ সৃষ্টিতে প্রণব মুখার্জীর ইতিবাচক ভূমিকা আরও জোরদার হয়েছিল যখন ইন্দিরা গান্ধী তাকে পূর্ব পাকিস্তানের (তৎকালীন বাংলাদেশ) মানবাধিকারের লঙ্ঘনের ঘটনা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে ১৯৭১ সালের ২ সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে অনুষ্ঠিত ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের ৫৯তম কনফারেন্সে পাঠান।

৪৬ বছর আগের সে সব অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৩ সালে প্রণব মুখার্জীকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা, স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। এটি ছিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার একমাত্র বাংলাদেশ সফর। শেখ হাসিনার এই ভারত সফরের দ্বিতীয় দিন এপ্রিলের ৮ তারিখে নয়াদিল্লীতে স্বাক্ষর হতে যাওয়া প্রায় তিন ডজন চুক্তির ওপরে গুরুত্ব দেবেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু নির্মল সত্যটি হচ্ছে, সাত বছর পর শেখ হাসিনার এই রাষ্ট্রীয় সফরটি হচ্ছে এমন এক সময়ে যখন রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখার্জী বিদায়ের প্রহর গুণছেন।

কেপি নায়ারের লেখায় বলা হয়, ‘কালার রেভ্যুলেশনে’র মাধ্যমে ইউক্রেন, জর্জিয়া ও মিশরের ক্ষমতার পালাবদল হয়। সম্প্রতি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পাশ্চাত্যের কালার রেভ্যুলেশনের পরিকল্পনা থেকে রক্ষা করেছেন প্রণব মুখার্জী। হিলারি ক্লিনটন এবং তার পূর্বসূরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি উভয়েই ভাবতেন দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশকে পিছনে ঠেলে দিচ্ছে। ক্ষুদ্র ঋণের স্বপ্নদ্রষ্টা ও সামাজিক ব্যবসার প্রবক্তা নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় গেলে দেশটির উন্নয়ন হবে। এরপর পরই হিলারি, কেরির মদদ নিয়ে ২০০৬ সালে রাজনীতিতে প্রবেশের চিন্তায় বিভোর হয়ে ওঠে ইউনূস। যা আর পরবর্তীতে বাস্তবে রূপ নেয়নি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ একে একে ইউনূসকে সমর্থন দিতে থাকে। প্রথম দিকে প্রাক্তন আইরিশ প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন এবং পরে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার খোলাখুলিভাবে ইউনূসকে সমর্থন দেয়। শেখ হাসিনা ও তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বেগম খালেদা জিয়ার থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে ইউনূসকে তখন ‘ত্রাণকর্তা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

২০১১ সালের মার্চে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে ইউনূসকে সরিয়ে দেয়া হয়। ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পে নেতৃত্ব দেয়া এই ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। এরপর ইউনূসের সমর্থনে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ ও মানববন্ধনের মতো কর্মসূচী পালিত হয়। এটি বলা হচ্ছিল যে, ইউনূসকে অপসারণের পর প্রতিবাদ জানিয়ে দেশব্যাপী যে আন্দোলনের সৃষ্টি হচ্ছিল তা ছিল হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পরিকল্পিত ‘কালার রেভ্যুলেশনে’র সূত্রপাত। সমসাময়িক অনেক দেশের ক্ষমতাসীনরা বিদেশ থেকে পরিচালিত এমন কয়েকটি জনপ্রিয় আন্দোলনের কারণে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।

আরও লেখা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের একাধিক সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ইউনূসকে সরিয়ে দিতে শেখ হাসিনার পরিকল্পনার কথা প্রণবকে জানিয়ে তা বন্ধ করতে আকূল আবেদন জানিয়েছিলেন হিলারি। হিলারি প্রণবকে এই কথা বলে অনুরোধ করেছিলেন যে, তার উচিত ইউনূসকে সমর্থন দেয়া। প্রণব মুখার্জীকে সরাসরি ফোন দেয়ার মতো কূটনৈতিক ঝুঁকির বিষয়ে হিলারি উৎসাহ পেয়েছিলেন দুই দেশের পরমাণু চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক থেকে। ওই চুক্তির সময় প্রণব মুখার্জী ভারতের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী এবং হিলারি ছিলেন নিউইয়র্কের একজন সিনেটর এবং ইন্ডিয়া সিনেট ককাসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

একসূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে প্রণব মুখার্জীকে হিলারি অনুরোধ করে এও বলেছিলেন যে ‘দীর্ঘমেয়াদে হাসিনার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নির্ভরযাগ্য হবে না এবং শেখ হাসিনার সরকার থেকে নয়াদিল্লীর দূরুত্ব আরও বৃদ্ধি করা উচিত। পাশাপাশি নতুন সরকার প্রধান হিসেবে সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্ব ইউনূসকে সমর্থন দিয়ে তার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মনোযোগ দেয়া উচিত।’ প্রণব মুখার্জী এর কোনটিই কারেন নেননি। বরং তিনি শেখ হাসিনার প্রতি তার আস্থা ও বিশ্বাসে অটল ছিলেন।

দেশ ও বিদেশে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও বিভিন্নভাবে শেখ হাসিনার সোর্স অনেক শক্তিশালী। সম্ভবত ওয়াশিংটনে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের এক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এমন একটি বার্তা হাসিনা আগেই পেয়েছিলেন। দ্রুতই হাসিনাও প্রণবকে ফোন করেছিলেন। সেখানে প্রণব হাসিনাকে এই কথা বলে আশ্বস্ত করেন যে, ‘ভারত সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পাশে থাকবে এবং এই বিষয় নিয়ে তার (হাসিনার) দুশ্চিন্তার কারণ নেই।

এই ঘটনার পর, ঢাকার ক্ষমতার রদবদল করতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের কালার রেভ্যুলেশনের উত্থানের চেষ্টার মতো ষড়যন্ত্র বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এর কিছুদিন পরেই, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ইউনূসের সরে যাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের উচ্চ আদালত রায় প্রদান করে। চলতি সপ্তাহে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে হয়তো বিদায় জানাবেন কিন্তু ওই ঘটনা তিনি সব সময় মনে রাখবেন। হাসিনার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ওয়াজেদ যখন নয়াদিল্লীতে স্কুলে পড়তেন, ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রয়াত স্ত্রী ছিলেন তাদের কাছে দ্বিতীয় মায়ের মতো।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn

এ বিভাগের আরো খবর

একজন খোকন মাষ্টার- সুপ্ত বাসনা যার হৃদয়ে

একজন খোকন মাষ্টার- সুপ্ত বাসনা যার হৃদয়ে

শিক্ষা গুরু বাবু সুবোধ রঞ্জন দাস

শিক্ষা গুরু বাবু সুবোধ রঞ্জন দাস

মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর

মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর