হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের গ্রুপ অ্যাডমিন! নয়া নির্দেশে বড় বিপদ হতে পারে
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোনও গ্রুপ অ্যাডমিন যদি এই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেন, সেক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি আইন, সাইবার ক্রাইম আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুকের গ্রুপ অ্যাডমিন হলে বা হওয়ার আগে সাবধান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসীর পুলিশ-প্রশাসন যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাতে সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপের অ্যাডমিন-দের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে পুলিশ। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই বারাণসীর জেলাশাসক এবং সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ একটি যৌথ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। সেখানে সতর্ক করে বলা হয়েছে, হোয়াটস অ্যাপ বা ফেসবুকের কোনও গ্রুপ থেকে যদি কোনও গুজব, তথ্যগতভাবে ভুল খবর, বিকৃত ছবি বা আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানো হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট গ্রুপ-এর অ্যাডমিনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে পুলিশ। কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করতে পারে, এমন পোস্টের ক্ষেত্রেও একই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এই ধরনের কোনও পোস্টই ফরওয়ার্ড করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার জন্য প্রত্যেকের ব্যক্তিস্বাধীনতা থাকলেও দায়িত্ব সহকারে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা উচিত বলেই সতর্ক করা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
পুলিশ-প্রশাসনের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈরি হওয়া বিভিন্ন নিউজ গ্রুপ থেকে বিভ্রান্তিকর বিভিন্ন খবর বা আপত্তিকর ছবি সত্যতা যাচাই না করেই ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রবণতা বন্ধ করতেই নতুন এই ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে কী করবেন ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ অ্যাডমিনরা? পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী, কোনও গ্রুপ সদস্য আপত্তিকর কোনও খবর, ছবি বা গুজব পোস্ট করলে সঙ্গে সঙ্গে সেই পোস্ট ডিলিট করে ওই সদস্যকেও গ্রুপ থেকে বের করে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, ওই গ্রুপ সদস্য এবং তার করা পোস্ট সম্পর্কে পুলিশকেও অবহিত করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোনও গ্রুপ অ্যাডমিন যদি এই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেন, সেক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি আইন, সাইবার ক্রাইম আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট এবং বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্টগুলির জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ীও ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ। বিজ্ঞপ্তি থেকেই স্পষ্ট, প্রয়োজনে বারাণসী জেলার বাইরে গিয়েও কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ।