১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গভীর নলকূপ ও স্যানেটারী ল্যাট্রিন পাচ্ছেন হতদরিদ্ররা
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, : হাওরাঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিরাপদ পানি ও স্বাস্থসম্মত ল্যাট্রিন। নিরাপদ পানির অভাবে মারাত্মক সমস্যায় দিন কাটাতে হচ্ছিল সাধারণ ও কেটে খাওয়া মানুষদের। এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে স্থানীয় সাংসদ পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান তার নির্বাচন এলাকা দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুরের মানুষদের কথা ভেবে ১০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে দুই উপজেলার অবহেলিত ও বঞ্চিত সাধারণ মানুষদের মাঝে গভীর নলকূপ ও স্যানিটারি ল্যাট্রিন বিতরণের ব্যবস্থা করেছেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ গভীর নলকুপ ও ল্যাট্রিন বিতরন করা হচ্ছে। যা দেশের ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নলকুপ ও ল্যাট্রিন পেয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষেরা। মানুষের প্রত্যাশা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়ে গেলে শত বছরের দুর্ভোগ কমবে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মাঝে ৪ হাজার গভীর নলকূপ ও ৪ হাজার ল্যাট্রিন বিতরণ করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই বিশেষ প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য দিনরাত কাজ পরিচালনা করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এছারাও নলকুপ ও স্যানিটারি ল্যাট্রিনের পাশাপাশি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহের কাজ চলছে বলেও জানিয়েছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। গভীর নলকূপ পেয়ে খুশিতে আত্মহারা এক বৃদ্ধ বলেন, নিরাপদ পানির জন্য এতদিন হাহাকার করেছিলাম। মন্ত্রী মান্নান সাহেব আমাদের সে কষ্ট দুর করেছেন। আমরা অত্যান্ত খুশি, এখন ভালো পানি পান করতে পারব। স্যানেটারী ল্যাট্রিন পাওয়া আরেক মহিলা জানান, আমাদের কোন ল্যাট্রিন ছিলনা। খুব কষ্টে ছিলাম আমরা। এখন একটি ল্যাট্রিন পেয়ে আমরা খুশি।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রব সরকার বলেন, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুরের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের জন্য ১০০ কোটি টাকার যে বিশেষ প্রকল্প এনেছেন তা দেশের ইতিহাসে এটা প্রথম। স্যানেটারী লেট্রিন ও গভীর নলকুপের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে এবং উপযুক্ত পরিবারকেই দেয়া হচ্ছে এসব সুবিধা। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন বলেন, আমাদের হাওরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের পরিকল্পনামন্ত্রী হাওরত্ন আলহাজ্ব এম এ মান্নান মহোদয় যে প্রকল্প এনেছেন তা ইতিহাসযোগ্য। আমরা আশাকরি এই প্রকল্পটি বাস্থবায়ন হয়ে গেলে আর শতবছরের দুর্ভোগ কমবে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুরবাসীর। একান্ত সাক্ষাতে কথা হলে পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান বলেন, হাওরাঞ্চলে অনেক সমস্যা। বিশেষ করে নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনের সমস্যা। এই বিষয়ের দিকে নজর দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ১০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ প্রকল্প দিয়েছেন। এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে দ্রুত গতিতে। আমি মনে করি আমার জীবনের সবকাজগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ কাজ হল এটি।