৩৬ বছর পর প্রহসনের সম্মেলন
ধর্মপাশা উপজেলাধীন মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনকে প্রহসন, ত্রুটিপূর্ণ ও বিতর্কিত সম্মেলন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার রাত ৮টায় মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন তালুকদার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপস্থিতে উৎসরমুখর পরিবেশে হওয়ার কথা ছিল এবং সে পরিবেশও বিরাজ করছিল। কিন্তু জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়েই কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একটি পক্ষকে নিয়ে মঞ্চে উঠে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই
সম্মেলনের কাজ শেষ করেন। যা অগঠনতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক। তিনি আরো বলেন, মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আব্দুল আউয়াল তালুকদারসহ অন্য প্রয়াত নেতাদের নামে কোনো শোক প্রস্তাব করা হয়নি। সম্মেলনে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়নি। এমনকি জাতীয় ও দলীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়নি। সম্মেলনের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত ও গীতাপাঠ করা হয়নি। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করার জন্য কারো নাম ঘোষণা হয়নি এবং মঞ্চের ব্যানার ছিড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে। কুতুব উদ্দিন উল্লেখ করেন, মধ্যনগর থানার চার ইউনিয়নের সম্মেলন ও ৩৬টি ওয়ার্ড সম্মেলন না করেই সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি তাদের পছন্দ মতো লোক দিয়ে এই সম্মেলন করে। যাকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রহসনের সম্মেলন বলে মনে করছেন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে সমন্বয় না করে অর্থের বিনিময়ে পকেট কমিটি দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়। তাই সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করার জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন খান, মো. নেহার উদ্দিন, আ. শহীদ আজাদ, মো. জহিরুল হক, মো. আব্দুস সালাম, জাকিরুল আজাদ মান্না, মোস্তফা কামাল খোকন, মো. আনোয়ার হোসেন সাগর প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে কমিটি ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয় মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন।