৯৯তম টেস্টে টাইগারদের বড় পরাজয়
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট ছিল বাংলাদেশের ৯৯তম টেস্ট। এই সফরেই শততম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু তার আগেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় পরাজয়ের স্বাদ নিতে হলো মুশফিকদের। ম্যাচের পঞ্চম দিন হলেও উইকেট খুব বেশি ভয়াবহ নয়। তবে বেশ টার্ন আছে উইকেটে। দিনের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ৬৭ রান থেকে ৫ উইকেটে ১০৪! ৩৭ রানের মাঝে নেই ৫ উইকেট। এসময় হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং উইকেটকিপার লিটন দাস। কিন্তু লাঞ্চের পর সেই প্রতিরোধও বেশিক্ষণ টিকল না। ১৯৭ রানেই থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। আর ২৫৯ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিল শ্রীলঙ্কা।
চতুর্থ দিনে ৬ উইকেটে ২৭৬ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৪৫৭ রানের। জবাবে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার ভালোভাবেই পার করে দেন চতুর্থ দিন। কিন্তু পঞ্চম দিনের শুরুতেই বিপত্তি! দিনের দ্বিতীয় বলেই অ্যাশলে গুণারত্ন বোল্ড করে দেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা সৌম্য সরকারকে। তিনি আজ আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি। ৪৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংসটিতে ৬টি চার এবং ১টি ছক্কার মার রয়েছে। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম-সৌম্য ৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন।
সৌম্যর বিদায়ের পরপরই ফিরে যান মমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন মাত্র ৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫ রান। দলের যখন একটি জুটি ভীষণ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, তখনই দিলরুয়ান পেরেরার বলে ফিরতে হলো তাকে। রিভিউ নিয়েও আম্পায়ারের দেওয়া এলবিডাব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত পাল্টানো গেল না। পেরেরার পরবর্তী শিকার হন তামিম ইকবাল। ৫৫ বলে ১৯ রান করা তামিম পেরেরার বলে গুণারত্নের হাতে ধরা পড়েন। প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করে তিনি অদ্ভুতভাবে রানআউট হয়েছিলেন তিনি।
তামিমের পর আবারও পরপর দুই উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের। রঙ্গনা হেরাথের এক ওভারে ফিরে যান সাকিব আল হাসান (৮) এবং মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ (০)। প্রথম ইনিংসে ১৯ বলে ২৩ রান করে ভীষণ দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়েছিলেন সাকিব। আজ অবশ্য বাজে শটে আউট হননি তিনি। হেরাথকে ডিফেন্স করতে গিয়ে গ্লাভসে বল লেগে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো করুণারত্নের হাতে। ১ বলের ব্যবধানে একই বোলারের বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ।
এরপর দারুণ প্রতিরোধ গড়ে ম্যাচ বাঁচানোর আশা জাগান অধিনায়ক মুশফিক এবং উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাস। দুজনে মিলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু লাঞ্চের পরই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। সান্দাকানের বলে ডিকাভিলার গ্লাভসে ধরা পড়েন ৯৮ বলে ৩৪ রান করা মুশফিক। এর কিছু পরে হেরাথের তৃতীয় শিকার হন ৬২ বলে ৩৫ রান করা লিটন দাস। এভাবেই অপমৃত্যু ঘটে আরেকটি টেস্ট বাঁচানোর স্বপ্নের।