৯ পাটকলে বকেয়া বেতন ৭৫ কোটি টাকা
মিল সূত্রে জানা গেছে, ৯টি জুট মিলের প্রতিদিনের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৭২ টন। সেখানে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ১০০.২৯ টন। এ পরিমাণ পাটজাত পণ্যের বাজার মূল্য ৮০-৮৫ লাখ টাকা। সেই হিসেবে ৮ দিনে প্রায় ৮ কোটি টাকার পাটপণ্য উৎপাদন বঞ্চিত হয়েছে। বর্তমানে পাটকলগুলোয় মাত্র ৪৭ হাজার ৭৪৭ কুইন্টাল কাঁচাপাট মজুত রয়েছে, যা দিয়ে মাত্র ১৫ দিন পাটকলগুলোর উৎপাদন চলতে পারে। এছাড়া, মিলগুলোতে ৩২ হাজার ৬৬০ টন হেসিয়ান, সেকিং, সিবিসি ও ইয়ার্ন পাটজাতপণ্য মজুত আছে। সূত্র আরও জানায়, ৯টি পাটকলে প্রায় ৩২৫ কোটি টাকার পাটজাত পণ্য মজুত রয়েছে। বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের মূল বাজার হচ্ছে, সুদান, ঘানা, সিরিয়া, ইরান ও ভারত। কিন্তু গত এক বছরে ওই দেশগুলোতে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য রফতানি বন্ধ রয়েছে। ফলে পাটকলগুলো চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন খুলনা অঞ্চলের সমন্বয়কারী (লিয়াজোঁ কর্মকর্তা) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মজুরি-বেতন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ কারণে তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করার চেষ্টা করছে। আশা করি, খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলে ১৪ হাজার ৫২৫ স্থায়ী, ১৮ হাজার অস্থায়ী এবং ৫২২ বদলি শ্রমিকসহ ৩৩ হাজার ৪৭ শ্রমিক এবং ১ হাজার ১৮৭ কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।