ফসলহানির প্রভাব ব্যবসায়, দ. সুনামগঞ্জে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
সামিউল কবির, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে :: হাওর পাড়ে যেখানে কৃষকদের সুখে শান্তিতে দিন কাটানোর কথা, সেখানে ফসলহানির পর মানুষের মনে দীর্ঘশ্বাস, হাহাকার। চোখে মুখে কষ্টের আকুতি আর বেঁচে থাকার আর্তনাদ। সরকারী সহযোগীতার কথা শুনে কিছু মানুষের মনে বাঁচার আশা সঞ্চার হলেও সবার নয়। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা পড়েছেন সবচেয়ে বড় বেকাদায়। উচ্চবিত্তরা, যাদের পরিবারের কেউ না কেউ বিদেশ অবস্থান করছেন, তাদের এই বিপদ কিছুটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু যারা শুধুমাত্র কৃষির উপর নির্ভরশীল, তারা আছেন অকূলপাথারে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী সেবুল মিয়া বলেন, ‘দোকানে ১৪/১৫ লক্ষ টাকার মাল আছে। কিন্তু বেচাবিকি খুবিই মান্দা, প্রতিদিন গড় বিক্রি তিনশ থেকে চারশ টাকা। যা দিয়ে নিজে চলা, সংসার চালানো খুবই কষ্টকর।’ রেজিয়া ফ্যাশন নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল হক ও কাশফুল শাড়ি সেন্টারের মালিক আব্দুল কাদিরও একই ধরনের কথা বললেন। মন্দাভাব লেগেছে ফুটপাতের ব্যবসায়ও। ফুটপাতে চা বিক্রি করেন রমা বাবু। আগে যেখানে দিনে অন্তত দুইশ’ টাকা লাভ করতেন, এখন সেখানে লাভের মুখ দেখছেন না তিনি। রমা বাবু বলেন, ‘এভাবে কয়দিন চলমু উপরওয়ালাই জানেন।’ স্থানীয় ব্যবসায়ী খালেদ হাসান বলেন, ‘সুনামগঞ্জের অর্থনীতি বোরো ফসলের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ফসল হারিয়ে অর্থনীতি এখন বড় ধাক্কার মধ্যে পড়েছে। সবকিছুতেই তাই মন্দাভাব।’