তারেক জিয়ার ঈদু শুভেচ্ছা
২৫ জুন ঈদের দিন যুক্তরাজ্য বিএনপি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেইনে সোনারগাঁও রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে তিনি ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিকেল ৭টা থেকে থেকে প্রায় আড়াইঘন্টা তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন যুক্তরাজ্য বিএনপি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে । এ সময় যুক্তরাজ্য বিএনপির শত শত নেতাকর্মীরা এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শত শত মানুষ তারেক রহমানের সঙ্গে কোলাকুলি করেন, কুশল বিনিময় করেন।
তারেক রহমানকে কাছে পেয়ে অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কুশল বিনিময়ের সুযোগে কেউ কেউ বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন ব্যাংক ডাকাত সরকারের অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন ও গুম খুনের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তারেক রহমান শোককে শক্তিতে পরিনত করে চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান। তারেক রহমান দেশবাসীকেও পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীর কাছে এক ঈদ শুভেচ্ছা বার্তায় তারেক রহমান বলেন, অচিরেই অশুভ কালোমেঘ কেটে যাবে। প্রতিষ্ঠিত হবে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার।
লন্ডনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তারেক রহমান অনেক নেতা কর্মীর কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন। বাংলাদেশে তাদের স্বজনদের খোজ খবর নেন। এর আগে গত কয়েক বছর তারেক রহমান লন্ডনে ঘরোয়া পরিবেশে দলের নেতকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করলেও এবারই প্রথম ঘরোয়া আয়োজনের বাইরে এসে খোলামেলা পরিবেশে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। তারেক রহমানকে কাছে পেয়ে দলের নেতাকর্মী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ আনন্দে এবার যোগ হয় নতুন মাত্রা। যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করার সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, ব্যারিস্টার নাসিরুদ্দিন অসিম, ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদসহ যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় উপস্থিত দলের নেতারা বলেন, সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন মাতৃভূমি বাংলাদেশে দাঁড়িয়েই দেশবাসীর সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তারেক রহমান।
এদিকে বাংলাদেশে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে সোমবার। শেখ হাসিনার ব্যাংক ডাকাত সরকার বিরোধী আন্দোলনে দলের হাজার হাজার কর্মী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। তাই ঈদ আনন্দে স্বজন হারানো পরিবারগুলোতে বিষাদের ছায়া। পবিত্র ঈদের আগেই ওইসব পরিবারগুলোর কাছে তারেক রহমান ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন। নিজের স্বাক্ষরিত ঈদ শুভেচ্ছা কার্ড পৌঁছে দিয়েছেন। তারেক রহমানের পক্ষে
সারাদেশে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা তারেক রহমানের পক্ষে ঈদ উপহার এবং ঈদ কার্ড পৌঁছে দেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপির বিবৃতি :
এদিকে আমাদের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি জানান, যুক্তরাজ্য বিএনপি এক বিবৃতিতে দেশে বিদেশে সকল বাংলাদেশী এবং জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মী, সমর্থক সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেন, দেশ এখন এক মহাক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। গনতন্ত্রকে করা হয়ছে নির্বাসিত, হরণ করা হয়েছে বাকস্বাধীনতা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকার গুলোকে করা হয়েছে পদদলিত। দূর্নীতিবাজ শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের মা, বাবা, ভাই, বোন, সন্তান পরিবার আত্মীয় স্বজনকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা ও গুম করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করে বলেন, দেশের প্রশাসনকে এখন সরকারিদলের প্রাইভেট বাহিনীতে পরিণত করে শত শত মায়ের বুক খালি করা হচ্ছে। শেখ মুজিবের শাসনামলের মতো শেখ হাসিনাও বাংলাদেশে গুম, খুন অপহরণের রাজনীতি শুরু করেছে। বাকশালের জনক শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে দেশে যে ক্রসফায়ারের রাজনীতি শুরু করেছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে অচিরেই স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন ঘটবে, দেশে প্রতিষ্ঠিত জনগণের সরকার, সুশাসন, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার।