আ’লীগের কেউ ‘সুইস ব্যাংকে টাকা পাচারে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা-কাদের
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের সাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচারে ক্ষমতাসীনরা জড়িত- বিএনপির এমন অভিযোগের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ বক্তব্য এলো। শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের কারও বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত অর্থ পাচারের কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রশাসনিক এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে গত এক বছরে বাংলাদেশিদের হিসাবে এক হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ জমা হওয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৬ সালে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশ থেকে জমা হওয়া টাকার পরিমাণ ছিল প্রায় পাঁচ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা, ২০১৫ সালে যার পরিমাণ ছিল প্রায় চার হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলেছেন। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অর্থ পাচারের রেকর্ড বিএনপির আছে। তাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এফবিআই সাক্ষী দিয়ে গেছে। কোকোর টাকার কথা সিঙ্গাপুরে প্রমাণিত। তদের মানি লন্ডারিং বিষয়টি সবার কাছে সুপরিচিত এবং আদালতে প্রমাণিত। তিনি বলেন, সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচারের সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। রাজনীতি করে কেউ এমন কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর হবে এবং কোনো আপোস হবে না।
অর্থ পাচার কারা করছে তা সরকার বের করবে কিনা জানতে চাইলে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি দেখবে। স্বচ্ছতার প্রয়োজনে যা করার দরকার, আমরা তা করতে রাজি আছি। কাদের বলেন, সুইস ব্যাংকে টাকা পাচার উদ্বেগজনক, কথাটা অসত্য নয়; এখনও হচ্ছে। উদ্বেগজনক বলেইতো আমরা তদন্ত করতে বলেছি। এখানে আমরা স্বচ্ছতা চাই। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।