সুনামগঞ্জ পাউবো অফিসে গ্রেফতার আতঙ্ক
সোমবার দুপুর ১২টায় পাউবো অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, অফিসে দুইজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও দুই থেকে তিনজন কর্মচারী ছাড়া কেউ নেই। তবে যারা আছেন তারাও আছেন আতঙ্কে। অন্যদিকে অফিসে বর্তমানে থাকা চারজন এসডি’র একজন এবং দশজন উপ-সহকারী আটজন দুদকের মামলায় পড়ে পলাতক থাকলেও অন্যরাও রয়েছেন আতঙ্কে। গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ভেতরের একটি ছোট কক্ষে ঢুকে গেলেন দুইজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীও। অফিসে থাকা উর্ধ্বতন হিসাব সহকারী মো. দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য কর্মচারীরা বলেন, অনেকেই ঈদের ছুটিতে রয়েছেন। এখনো আসেননি।
অফিসে আতঙ্ক বিরাজ করার সত্যতা স্বীকার করে নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বারেক সিদ্দিক ভুইয়া মুঠোফোনে জানান, এই অবস্থায় সুনামগঞ্জ অফিসের ১০ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ৮ জন দুদকের মামলায় আসামী হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। একজন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীও মামলার আসামি হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। অন্য যারা আছেন, তাদের মধ্যেও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী লিংকন সরকার, অনিক সাহা ফোন-ই ধরছেন না। বিষয়টি প্রধান প্রকৌশলীকেও আমি জানিয়েছি।
হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরখাস্তকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফছার উদ্দীন, সিলেট সার্কেলের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার, সিলেট উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই, সুনামগঞ্জের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস, খলিলুর রহমান, সেকশন কর্মকর্তা মো. শহিদুল্লা, ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ্ খান, খন্দকার আলী রেজা, মো রফিকুল ইসলাম, মো. শাহ আলম, মো. বরকত উল্লাহ ভুঁইয়া, মো. মাহমুদুল করিম, মো. মোসাদ্দেক, সজীব পাল ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং ৪৬ জন ঠিকাদার আসামি হয়েছেন। কর্মকর্তাদের মধ্যে ১১ জন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত ছিলেন। ওই ১১ জনের মধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে দুদক। অন্যরা পলাতক আছে বলে জানা গেছে।