এনায়েত করিম অমি- ফেসবুক থেকে নেয়া–

সুসময়ের কোকিলগণ অাপনাদের আওয়ামী লীগ অার জাতির জনকের জন্য প্রেম এত ভালোবাসা দেখে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে নিজেই লজ্জিত বোধ করছি। অথচ ২১ বছর যখন অাওয়ামী লীগ সরকারে ছিলনা তখন জাতির জনকতো পরের কথা। শেখ মুজিব নাম মুখে নেয়া। জয় বাংলা শ্লোগান দেয়ার জন্য মিছিল করার জন্য হারিকেন জ্বালিয়ে অাপনাদের খুঁজতে হতো। কিন্ত অাপনাদের চাঁদ মুখ কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অার এখন দমে দমে অাওয়ামী লীগের নামে জিকির করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন। ৯১ থেকে ৯৬ গুরুদয়াল কলেজে ছাত্রলীগের মিছিল করতাম ১০ পনের জন মিলে। ভয়ে কেউ অামাদের সাথে মিছিলে অাসতো না। অার এখন সব ছাত্রলীগ। সব অাওয়ামী লীগ। এই অবস্থা সারাদেশেই।

১৯৯৫ সালে অামি যখন গুরুদয়াল কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করি আমার পোস্টারে লিখেছিলাম, ‘অামিও মুজিব হবো, আমিও বিক্ষোভ হবো।’ ১৫ই আগস্ট শোক দিবসে পোস্টার ছাপিয়েছিলাম একটি স্কেচ দিয়ে যা এঁকে দিয়েছেছিলেন বিখ্যাত চারুকলা শিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী। মুজিব হতে চাওয়া কিংবা নিজের মত করে জনকের ছবি এঁকে অামরা যদি অপরাধ না করে থাকি তাহলে একটি শিশুর আঁকা ছবি দিয়ে কার্ড ছেপে বরগুনা সদরের উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সালমানও কোন অপরাধ করেননি। গাজী তারিখ সালমান অামরা লজ্জিত। অামরা অাপনার পাশে অাছি। অামি বিশ্বাস করি পুরো দেশ অাপনার সাথে অাছে। যারা অাওয়ামী লীগ ও সরকারকে বিব্রত করতে জাতির জনকের ছবি বিকৃতি করার অজুহাত তুলে মামলা করেছে সেই সব নব্য অাওয়ামী লীগারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রত্যাশা। কারণ অামি নিশ্চিত করে বলতে পারি, কাল অাওয়ামী লীগ সরকারে না থাকলে পরশু এদের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা এই সু সময়ের কোকিলগণকে।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn