দোয়ারাঃ ভুল সার্ভেতে ইজারা হয়নি জলমহাল, লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি
দোয়ারাবাজর উপজেলার মরা সুরমা নদীর সরকারি জলমহালটি ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালী পনায় ভুল সার্ভের কারণে চলতি সনে ইজারা হয়নি। ইজারা না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট প্রশাসন ও সরকার দলীয় এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে আসছে। তাদের কাছে জলমহালের বৈধ কাগজপত্র আছে বলে লাখ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত মাছ আহরণ করলেও টনক নড়ছেনা স্থানীয় প্রশাসনের। অতীতে প্রতি তিন বছরের জন্য বিভিন্ন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে ইজারা দেয়া হয়েছে সরকারি ওই মহালটি। বিগত ১৪২১, ২২ ও ২৩ সনের জন্য স্থানীয় পূর্ব মাছিমপুর একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে ৭ লাখ টাকায় সরকারি ওই জলমহালটি জেলা প্রশাসন হতে ইজারা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু উপজেলা ভ‚মি অফিস কর্তৃপক্ষের সার্ভে জটিলতার কারণে ইজারা দিতে পারেনি জেলা প্রশাসন। তবে উপজেলা ভ‚মি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জলমহালের সীমানা ছিল ২৩ একর, তা সংশোধন করে ৫৭ একর নির্ধারণ করা হয়েছিল। স্থানীয় মৎস্যজীবিদের দাবি অনুযায়ী যেখানে মৎস্য উৎপাদন চলমান সেই স্থান নির্ধারণ করে আগের ২৩ একর সীমানা সঠিক রেখে দ্বিতীয়বার আরেকটি সার্ভে রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে ইজারা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার জীবনপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ও রগু-রামপুর মৎস্য জীবি সমবায় সমিতির নামে আজাদ মিয়া, কামাল মিয়া, বাজিতপুর গ্রামের নজরুল, ফয়জুন নুর মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত অবৈধ কোনা (মশারী) জাল দিয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ শিকারের হরিলুট শুরু করেছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারি ওই জলমহাল হতে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট অবৈধ জাল দিয়ে মাছ আহরণ করলেও নজরধারী নেই স্থানীয় প্রশাসনের।
স্থানীয় একাধিক মৎস্যজীবিরা অভিযোগ করে বলেছেন, জলমহালটি যেহেতু ইজারা হয়নি সে হিসেবে এখানে মৎস্য আহরণ করা সবার জন্য উন্মুক্ত। কিšুÍ সরকার দলীয় প্রভাবশালী স্থানীয় ব্যক্তিরা এমপি ও প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেরা ভোগ দখল করে খাচ্ছেন। এছাড়া তারা নিজেদের বৈধতা আছে দাবি করে জলমহালের কিছু অংশ স্থানীয় মজুর বাজারের জিয়াউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির নিকট বিক্রিও করেছেন। এর সত্যতা জানতে চাইলে ব্যবসায়ী জিয়াউল ইসলাম বলেন, তাদের বৈধ কাগজপত্র আছে বলে আমার নিকট জলমহালের কিছু অংশ তিন বছরের জন্য ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। ইতোমধ্যে তাদের আমি ৯০ হাজার টাকাও দিয়েছি। তবে আমার জানা নেই তাদের বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা। এ ব্যাপাওে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) প্রশান্ত কুমার বলেছেন, সরাকরি জলমহাল হতে অবৈধভাবে কেউ মাছ শিকার করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।