আরেক ধাপ বেতন-ভাতা বৃদ্ধি : অর্থমন্ত্রীর বৈঠক কাল
২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে বেতন আর ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ভাতা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধির পর সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা আরেক ধাপ বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এ বিষয়ে আগামীকাল রোববার বৈঠক ডেকেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অষ্টম বেতন কমিশনের ঘোষণা ছিল, মূল্যস্ফীতির চাপ আমলে নিয়ে প্রতি বছর যৌক্তিক পরিমাণ বেতন বাড়ানো হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী জুনের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা কিছুটা বাড়বে। এ ক্ষেত্রে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট চলমান ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করার আভাস দিয়েছে অর্থবিভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রোববার এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক ডেকেছেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হবে। সে ক্ষেত্রে আসছে বাজেটের বরাদ্দ বাড়ানোর মতো বিষয়ও থাকবে। এ জন্য জুনে নতুন বাজেট ঘোষণার আগেই এ ব্যাপারে কিছু সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় সরকার।
এর আগে ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার এবং সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা মূল ধরে সরকারি কর্মকতা-কর্মচারীদের জন্য অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদন করে সরকার, যাতে বেতন বাড়ে গ্রেড ভেদে ৯১ থেকে ১০১ শতাংশ। ওই কাঠামোতে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে যোগ দেয়া একজন চাকরিজীবীর মূল বেতন হয় মাসে প্রায় ২২ হাজার টাকা, যা আগের কাঠামোতে ১১ হাজার টাকা ছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয় এলাকা অনুযায়ী বাড়িভাড়া এবং গ্রেড অনুযায়ী চিকিৎসা ও অন্যান্য ভাতা। ২১ লাখ সরকারি চাকরিজীবী এই হারে মূল বেতন পাচ্ছেন ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে। আর ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ভাতা কার্যকর হয়েছে। অষ্টম বেতন কাঠামোতে সর্বোচ্চ স্কেলের মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মূল বেতন ৮৬ হাজার টাকা এবং জ্যেষ্ঠ সচিবদের ক্ষেত্রে ৮২ হাজার টাকা। সপ্তম বেতন কাঠামোতে তাদের মূল বেতন ছিল যথাক্রমে ৪৫ হাজার ও ৪২ হাজার টাকা।
সরকারি বেতন কাঠামো অনুযায়ী, এই গ্রেডের কর্মকর্তাদের মূল বেতন নির্ধারিত, অর্থাৎ প্রতিবছর তাদের বেতন আর বাড়ে না বা ‘ইনক্রিমেন্ট’ যোগ হয় না। তবে তারাও নিয়ম অনুযায়ী বাসা ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা পান। এর আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে সপ্তম বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছিল ২০০৯ সালের ১ জুলাই। সে অনুযায়ী এতদিন সরকারি চাকরিজীবীরা সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা ‘বেসিক’ ধরে বেতন পেতেন।