শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে বার্সেলোনা। লিওনেল মেসি কাতালানদের জার্সিতে ৪০০তম জয়ের ম্যাচটি স্মরণীয় করে রেখেছেন জয়সূচক গোল করে। অন্য গোলটি রাফিনহার। আর স্বাগতিকদের সান্ত্বনার গোলটি ডিয়েগো গডিনের।
ভিসেন্তে ক্যালদেরনে রোববার রাতের জয়টি স্বাগতিকদের বিপক্ষে কোচ লুইস এনরিকের অধীনে নয় নম্বর জয়। অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে বার্সার ১২বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে সিমিওনের দল জিতেছে মাত্র একটিতে, বাকি দুটি ম্যাচ ড্র।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই প্রতিপক্ষের উপর চেপে বসতে পারতো আতলেতিকো। কিন্তু কেভিন গামেইরোর ছয় গজ বক্সের ঠিক বাইরে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণেই নিতে পারেননি ইয়ানিক কারাসকো। খানিক পরেই মেসির জোরালো শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর খেলার ৬৪ মিনিটের মাথায় লিড নেয় অতিথি বার্সা। সুয়ারেজের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন রাফিনহা। তবে, বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি লুইস এনরিকের শিষ্যরা। স্বাগতিক অ্যাতলেতিকোর হয়ে ম্যাচের ৭০ মিনিটের মাথায় সমতাসূচক গোল করেন গডিন।
৮৬ মিনিটের মাথায় জয়সূচক গোলটি করেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি। তার গোলেই বার্সা এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে। ম্যাচের বাকি সময় ম্যাচে ফিরতে চেয়েও পারেনি অ্যাতলেতিকো।
এ ম্যাচে জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে এককভাবে শীর্ষে উঠলো বার্সা। ২৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৫৪ পয়েন্ট মেসি বাহিনীর। ২২ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদ। ২৪ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে সেভিয়া। আর সমান ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।
পূর্ণ তিন পয়েন্ট এনে দেওয়ার সঙ্গে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার কাতালান জার্সিতে তুলে নেন নিজের ৪০০তম জয়। ২০০৪ সালে বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল মেসির। এই সময়ের মধ্যে বার্সার হয়ে সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৬৫তম ম্যাচে ৪০০তম জয়টি এলো তার। বাকি ৬৪ ম্যাচে হার এবং ১০২ ম্যাচে ড্রয়ের স্বাদ পেয়েছেন এলএম টেন।
দারুণ কীর্তির রাতে রেফারির সঙ্গে বাক্য বিনিময় করে ম্যাচে হলুদ কার্ডও পেতে হয়েছে মেসিকে। সেটি যেনো জাদুকরের বেশে মানুষ মেসিকেই সামনে টেনে আনল আরেকবার!