জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হলো। বিজ্ঞপ্তিতে সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী প্রার্থীদেরকে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দারুস সালাম শাকিল, ক্রীড়া সম্পাদক চিন্ময় রায় এবং সহসম্পাদক মো মাসুদ পারভেজ তারেক সুনামগঞ্জে আসবেন। রাত পৌনে ৮টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দারুস সালাম শাকিল বলেন, ‘সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করতে ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জে আসবো আমরা’।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের অক্টোবরে সভাপতি ও সম্পাদকসহ ১০ জনের পদবি উল্লেখ করে ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয়েছিল। কমিটি ঘোষণার পর ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা মিছিল-সমাবেশ বিক্ষোভ করলেও শেষ পর্যন্ত ঐ কমিটির নেতৃত্বেই ছাত্রলীগের কার্যক্রম চলতে থাকে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মতানৈক্য ছিল দীর্ঘদিন। অবশ্য, ২০১৩ সালের ১৪ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণ ও সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী ঐক্যবদ্ধভাবে জেলা ছাত্রলীগের ১৭১ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বলেছেন, ‘১৭১ সদস্যের জেলা কমিটি কখনই কোন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়নি। কারা কারা কমিটিতে আছে, এটিও অস্পষ্ট’। অন্যদিকে, জেলা শহরে ছাত্রলীগ গত ৬ মাস হয় নয়টি উপগ্রুপে বিভক্ত হয়ে কর্মসূচী পালন করে আসছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে আগ্রহী ২০ জনের বেশি ছাত্রনেতা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে তদবির করে আসছেন।
শনিবার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হলেও শেষ পর্যন্ত সম্মেলন হয়নি।
সম্মেলন না হওয়া প্রসঙ্গে বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণ বলেন, ‘জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের লাশ কাঁধে নিয়ে সম্মেলন করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তিনি (সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত) মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। আমিও একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার পক্ষে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন উৎসব ১১ মার্চ করা সম্ভব হয়নি।’