সৈয়দ বয়তুল আলী-

অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মৌলভীবাজারের বড়লেখা,জুড়ি, কুলাউড়া, রাজনগরসহ পাঁচটি উপজেলার হাওরপাড়ের জনজীবনে এখনো চলছে হাহাকার। বন্যার পানি কমলেও জলাবদ্ধতায় টইটুম্বুর জেলার মৎস ভান্ডার হাকালুকি, কাউয়াদিঘী ও হাইল হাওর। তাই অন্য বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম মাছ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে হাওর পাড়ের জেলে পরিবার। হাওরগুলোতে কম মাছ ধরা পড়ায় জীবিকার সংকটে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। তাদের ঘরে চলছে অভাব-অনটন। হাওরাঞ্চলের বাড়িঘর থেকে বন্যার পানি নামলেও হাওরে এখনো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি পানি। ভাসান পানিতে তাই মাছ মিলছে কম। মাছ ধরা না পড়ায় এবং বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক জেলে। সরকারি ত্রাণ সহায়তাও পাচ্ছেন না সবাই। কুলাউড়া উপজেলার হাকালুকি হ্ওার পাড়ের জেলে বটলাই মিয়া জানান, ’এই বছর হ্ওারে বেশি পানি থাকার কারণে জালে মাছ কম ধরা পরছে। আন্যান্য বছর আমরা জালে গিয়ে জন প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কামাই করতাম এ বছর ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কামাই করি। কোন রকম খেয়ে না খেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি।’

বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি হ্ওার পারের জেলে আসলাম মিয়া জানান, হ্ওারে পানি বেশি থাকার কারনে পানিতে ঢেউ থাকে বেশি তাই জালে এ বছর মাছ কম ধরা পড়ছে। রাজনগর উপজেলার কাউয়াদিঘী হ্ওার পাড়ের জেলে রেমান মিয়া বলেন, ’এই বছর হ্ওারে খুব বেশি পানি এর সাথে বাতাস ও খুব বেশি। অনেক সময় বাতাসের কারণে জাল দিয়ে মাছ ধরা যায়না। আর মাছ চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাই জালে ধরা পড়ছেনা’ জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা জেলায় ১৩ হাজার ৪০০ নিবন্ধিত মৎস্যজীব আছেন। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধনের বাইরেও অনেক মৎস্যজীবী রয়েছেন।  জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুছ আকন্দ বলেন, ‘এবার আগাম বন্যা হওয়ায় মাছের উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে এই সময়ে মাছ কিছুটা কম ধরা পড়ে।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn