সুধীজনের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার দুঃস্থদের জন্য যে জিআর চাল বরাদ্দ দিয়েছে তা স্বচ্ছতার সঙ্গে বিতরণ করতে হবে। যারা ভিজিএফ, ওএমএসসহ সরকারি বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করছে তাদেরকে বাদ দিয়ে প্রকৃত দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের মধ্যে এই বরাদ্দ বণ্টন করার জন্য তিনি স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানান। মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক সদর উপজেলার সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে হালনাগাদ সার্বিক চিত্র অবগত হন। উপজেলা পর্যায়ের কয়েকজন অফিসার তোপের মুখেও পড়েন বলে জানা গেছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্কাউট লিডার, শিক্ষক প্রতিনিধি ও সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম। জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জেলার উন্নয়নের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান সবাইকে। আগামী বছর সদর উপজেলার সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের হাওরের বাঁধ রক্ষায় কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ভালো হবে সেই লক্ষ্যে আগামী রোববারের মধ্যে লিখিতভাবে বক্তব্য পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, ৪০ দিনের কর্মসূচি, টিআরের কাজে দায়িত্বশীলতার অভাব লক্ষ করা গেছে। তাই গত দুই বছর ধরে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজও এই পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতার অভাবের কারণে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছে। এখন তারা চোখের জল ফেলছেন। জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা অনেকে জানেননা সরকার কৃষি ঋণ কৃষকদের জন্য মাত্র ৪ পারসেন্ট সুদে দিয়ে থাকে। কিন্তু সেই ঋণ কেন আমার কৃষকরা পাবে না। এই জায়গাগুলোতে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের কাজ করার জায়গা থাকলেও আপনারা কৃষকদের সেই সুবিধার কথা জানাচ্ছেন না।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, সরকার প্রতিমাসে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বরাদ্দ দিচ্ছে। একটা বেঞ্চের পায়া ভেঙে গেলে চিঠি দিয়ে চাওয়ার তো কিছু নাই। এটা এই টাকা থেকেই মেরামত করার সুযোগ রয়েছে। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাবেরা আক্তার, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল কাদির শিহাব, সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জাহেদুল হক, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সোনিয়া সুলতানাসহ সদর উপজেলার সকল উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্কাউট লিডার, শিক্ষক প্রতিনিধি ও সুধীজন।