শততম টেস্টে সাব্বির না মোসাদ্দেক?
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম কিপিং গ্লাভস তুলে রাখার পর বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডারে বড় রদবদল আনতে বাধ্য হয় টিম ম্যানেজমেন্ট। উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান পজিশনে লিটন দাসকে জায়গা দিতে সাব্বির রহমান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। কম্বিনেশনের কারনে গল টেস্ট বাইরে থেকে দেখতে হলো সাব্বিরকে। এদিকে ব্যাট হাতে জীর্ণদশা কাটছে না মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। পুরনো ভুলগুলো কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তিনি।
সাব্বির রহমান যে খুব বাজে ফর্মে ছিলেন তাও কিন্তু নয়। এখন পর্যন্ত পাঁচ টেস্ট খেলে লোয়ার মিডেল অর্ডারে ব্যাট করে তিনটি ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি। ইংলিশদের বিপক্ষে চিটাগং টেস্টে অভিষিক্ত সাব্বির হতে পারেন ভবিষ্যতের ব্যাটিং ভরসা। তার উপর দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডারদের একজন সাব্বির।ফিটনেস বিবেচনায় নিঃসন্দেহে সবার সেরা ২৫ বছর বয়সী সাব্বির রহমান। কিন্তু অভিজ্ঞতার বিচারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সম্ভাবনাময় সাব্বিরকে বসিয়ে রাখতে হলো। অন্যদিকে মাহমুদুল্লাহর টেস্ট রেকর্ড ঘেটে দেখলে খুব বেশী সন্তুষ্টি মিলবে না ক্রিকেট প্রেমীদের। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ২০ টেস্টে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফসেঞ্চুরি মাত্র ২ টি। ২০১৫ সালে সাউথ আফ্রিকার সাথে ৬৭ আর চলতি বছর ভারতের সাথে ৬৪। সম্পূর্ণ টেস্ট ক্যারিয়ারে মাত্র একটি সেঞ্চুরি, তাও সেটা এসেছে সেই ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডে। হয়তো এখন সময় এসেছে টেস্ট দলে মাহমুদুল্লাহ ইস্যুতে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার। স্কোয়াডে থাকা তরুণ মোসাদ্দেক হোসাইন হতে পারে ছয় নম্বরে যথার্থ উত্তর। এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার লম্বা ইনিংস খেলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরীক্ষিত, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে মোসাদ্দেকের গড় প্রায় ৭০ ছুঁই ছুঁই। ছোট ক্যারিয়ারে ইতিমধ্যে সাতটি সেঞ্চুরি ও আটটি অর্ধশত ছাড়াও মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে এসেছে দুইটি ডাবল সেঞ্চুরি। লম্বা সময়ের কথা চিন্তা করলে মোসাদ্দেক হোসাইন হতে পারেন টেস্টের ব্যাটিং ভরসা। সেই সাথে মোসাদ্দেকের অফ স্পিন কার্যকরী হতে পারে। সেক্ষেত্রে মাহমুদুল্লাহ ও সাব্বিরকে ঘরোয়া ক্রিকেট নিজেদের প্রমান করে দলে ফিরতে হবে।