‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটির বিধান কেন অবৈধ নয়’
অ্যাডহক কমিটি গঠনের বিধান সংবলিত আইনের ধারা কেন বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে নির্ধারিত বর্ধিত ফি এক বছরের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত। সোমবার বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিব, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ঢাকার ডিসিসহ নয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরাত জাহান।
২০০৯ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা প্রবিধানমালা ৩৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গভর্নিং বডি বা ক্ষেত্রমত ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠনে ব্যর্থ হলে, উহা সঠিকভাবে গঠিত না হলে বা ভাঙ্গিয়া দেওয়া হলে অনধিক ছয় মাসের জন্য অ্যাডহক কমিটি গঠিত হবে।’ আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘প্রবিধানমালার এই ধারাটি সংবিধানের প্রস্তাবনা ও ১১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়া ১৯৬১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যাদেশের ৩৯ ধারার সঙ্গেও এটি সাংঘর্ষিক। কারণ অধ্যাদেশে অ্যাডহক কমিটি গঠনের কোনো বিধান ছিল না। অ্যাডহক কমিটি সংবিধানের গণতান্ত্রিক কাঠামোর সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। অনির্বাচিত অ্যাডহক কমিটি থাকলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারও থাকতে পারে। তাই আদালত এই ধারাটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে ভিকারুননিসা নূন স্কুল পর্যায়ে ৩০০ ও কলেজ পর্যায়ে মাসিক ৫০০ টাকা হারে বেতন বাড়ানো হয়েছে। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বার্ষিক ৫০০ টাকা হারে হিতৈষী ভাতা নিয়ে থাকে। অনির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে এই টিউশন ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এক বছরের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।’ এর আগে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।