নারায়ণগঞ্জ সদরের ফতুল্লা দক্ষিন নয়মাটিতে মাদকাসক্ত ছোট ভাইয়ের ছুরকাঘাতে খুন হয়েছে বড় ভাই লিটন (৩৩)। নিহত লিটন ২ সন্তানের জনক। হত্যাকান্ডের পর এলাকাবাসী মাদকাসক্ত ছোট ভাই হৃদয়কে একটি ঘরে আটকে ফেলে। খবর পেয়ে র‌্যাব ১১’র একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে হৃদয়কে ওই ঘর থেকে গ্রেফতার করে। শনিবার রাতে কুতুবপুর ইউনিয়নের দক্ষিন নয়ামাটি এলাকায় শামসুল আলমের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজালাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আটক হৃদয় মাদারীপুর জেলার করতি গ্রামের আব্দুল বারেক খানের ছেলে।

এলাকাবাসি জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল বারেক খান ৪ ছেলেসহ দক্ষিণ নয়ামাটি এলাকার শামসুল আলমের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। হৃদয় পরিবারের সবার ছোট। সে একজন মাদকাসক্ত। এ নিয়ে হৃদয়রের স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। শনিবার রাত ৯টার দিকে হৃদয় তার মায়ের সাথে লিটনের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে কথা বলছিল। এসময় হৃদয়ের সেঝ ভাই রহিম দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু হৃদয় দরজা না খুলে রহিমের সাথে অসৌজ্যমূলক আচরণ করেন। এরপর লিটন এসে দরজা খুলতে বলে। এসময় লিটনের সাথেও অশোভন আচরণ করে হৃদয়। এক পর্যায়ে হৃদয় দরজা খুলে লিটনকে ধাক্কা দেয়। এতে দুই ভাইয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই হৃদয় লিটনের রুম থেকে গরুর চামড়া কাটার ছুরি হাতে নিয়ে বড় ভাই লিটনকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় আহত লিটনকে টেনে হিচরে নিয়ে গিয়ে পাশের কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেয় হৃদয়। হৃদয়ের মা-বাবা ও অন্যান্য ভাইদের চিৎকারে এলাকাবাসীরা ছুটে আসে। এলাকাবাসী ঘাতক ছোট ভাই হৃদয়কে ঘরের ভেতরে আটকে ফেলে এবং লিটনকে মুমৃর্ষবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এসময় হৃদয় ভেতর থেকে ঘরের দরজা আটকে দেয়। পরে খবর পেয়ে র‌্যাব ১১’র একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের দরজা ভেঙ্গে হৃদয়কে গ্রেফতার করে। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, যতদূর জানতে পেরেছি হৃদয় মাদকাসক্ত। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হৃদয় তার বড় ভাই লিটনকে ছুরিকাঘাত করে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে লিটনের মৃত্যু হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn