গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজসহ নতুন করে যুক্ত হওয়া কলেজগুলোর অধিভুক্ত বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কয়েকশ শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পূর্ব ঘোষিত মানবন্ধন কর্মসূচি উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বাস ভবনের সামনে অবস্থিত স্মৃতি চিরন্তন চত্ত্বরকে ঘিরে এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। গত সোমবার থেকে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়ে ঢাবির ইনস্টিটিউট ভুক্ত হওয়ার যে দাবি জানিয়ে আসছে তার প্রতিবাদে ওই মানববন্ধন ডাকা হলেও মানবন্ধনে বক্তারা গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজেসহ সদ্য যুক্ত হওয়া কলেজগুলোকেও অধিভুক্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ঢাবি শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, অধিভুক্তের নাম করে আমাদের সমাবর্তনে তারা অংশ নিতে পারবে না। আমাদের সাথে তাদের সমাবর্তনের সুযোগ দেয়া হলে আমরা সমাবর্তন বয়কট করবো। আমরা মাসের পর মাস, দিনের পর দিন ১৫-১৮ ঘণ্টা করে পড়ালেখা করে ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। আমাদের সাথে তাদের সমাবর্তন মেনে নেয়া যায় না।

ঢাবির সমাজ কল্যাণ ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী বলেন, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষার্থীদের টানা অবরোধের কারণে আমরা ক্লাসে যেতে পারছি না। রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করায় দীর্ঘপথ পায়ে হেটে যেতে হয়। আজিমপুর-মিরপুর রোডে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। তারা সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। তাদের অধ্যক্ষ বলেছে, ‘জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা সন্ত্রাসীদের কাজ।’ তারা তাদের অযৌক্তিক আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিজেদেরকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখবে বলে আমরা মনে করি।

মানববন্ধনে তারা তাদের দাবিগুলো নিয়ে উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি দেবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) আক্তারুজ্জান গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের মেয়েদের আন্দোলনের উপর যে সহানুভূতি দেখিয়েছেন তারও নিন্দা জানিয়েছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। মাহফুজুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের নিজেদেরই এখনো পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ নেই, লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, আবাসন সংকটের কারণে আমরা হলে থাকার জায়গা পাই না। আমাদের এ সমস্যাগুলোর সমাধান না করে প্রশাসন বাড়তি ঝামেলা হিসেবে অধিভুক্ত কলেজ সংখ্যা বাড়িয়ে চলছে। স্মৃতি চিরন্তনের সামনের সড়কে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলটি সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্য ঘুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ডাকসু ক্যাফেটেরিয়া ও কলাভবন হয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসে শেষ হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn