মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে মেয়র পদ ফিরে পাওয়ার ৩ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগে আদেশের অনুলিপি পৌঁছানো হয়েছে। এর ফলে এখন যেকোন সময় মেয়র পদে বসতে আরিফুল হক চৌধুরীর সামনে আর কোনো বাধা নেই।  একই সাথে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর স্বাক্ষরিত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা প্রদানে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে পত্র পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, এসএমপি কমিশনার, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব বরাবরে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের সার্টিফাইড কপি ও মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা’র একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ তা গ্রহন পূর্বক রিসিভড কপি মেয়র ও তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম কাফিকে প্রদান করেন।

গত সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ দস্তগির ও মো. আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে তাঁর মেয়র পদ ফিরিয়ে দেয়ার আদেশ দেন। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এক আদেশে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্থ করে। এই আদেশের বিরুদ্ধে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত সোমবার এই রিটের শুনানি শেষে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। শুনানিতে মেয়র আরিফুল হকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ও ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম কাফি।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১০ বছর পর তৃতীয় সম্পূরক চার্জশিটে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিসিক মেয়র আরিফুর হক চৌধুরীকে আসামি করা হয়। ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে গৃহীত হলে ২৮ ডিসেম্বর স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত মেয়র আরিফুলের জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ২১ জুন সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনার দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর মেয়র আরিফকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়। ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি দীর্ঘ কারাভোগের পর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান আরিফুল হক চৌধুরী।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn