জগন্নাথপুরে জঙ্গি ও মাদক বিরোধী সমাবেশ
মো.শাহজাহান মিয়া-
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জঙ্গিবাদ ও মাদক বিরোধী সমাবেশ এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদগঞ্জ বাজারে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী রেজাউল করিম রিজু। জগন্নাথপুর থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও এসআই হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, এলাকার প্রবীণ মুরব্বি এটিএম ফয়জুল হক, সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা আলাল হোসেন রানা, সফাত উল্লাহ-জগদিশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাব্বির রহমান চৌধুরী,সমাজসেবক মাওলানা মতিউর রহমান, মাওলানা ফজল উদ্দিন, শিক্ষক মুফতি মাওলানা মুনাজির আহমদ, সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আবুল হাসান, আবু লেইছ, হাসান আহমদ প্রমূখ।
এ সময় জগন্নাথপুর থানার এসআই কবির উদ্দিন, এসআই কায়মুল ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মিয়া, মোহাম্মদগঞ্জ কমিটির সভাপতি রোকন উদ্দিন, সমাজকর্মী নজরুল ইসলাম, হোসেন আহমদ, গউছ আলী, মাওলানা শিব্বির আহমদ, জাহেদ আলী, সালাতুর রহমান, আখলুছ মিয়া, নুর আলী খান, আলমগীর খান সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে বাজার সহ আশপাশ এলাকা। সভায় বক্তাদের মধ্যে অনেকে বলেন, স্থানীয় শ্রীধরপাশা গ্রামের বিএনপি নেতা জাবেদ আলম কোরেশী ও যুবলীগ নেতা ফয়সল মিয়ার লোকজনের মধ্যে মাদ্রাসার জমি নিলাম নিয়ে সম্প্রতি সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় এলাকায় অশান্তি বিরাজ করছে। হত্যা মামলার আসামি জাবেদ আলম কোরেশী পক্ষের লোকজন জামিনে বেড়িয়ে এসে ফয়সল পক্ষের লোকদের নানা ভাবে ফাসাতে অপচেষ্টা করছে। সেই সাথে আরিক, নাজিম, মাজহারুল ও মইবুল নামের ৪ মানষিক রোগীকে দিয়ে বিভিন্ন নাটক সাজানোর চেষ্টা চলছে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, সমাজে অপরাধী সন্তানের জন্য তার পিতাকে অপমানিত হতে হয়। এমন কু-সন্তানের পিতা না হওয়া ভাল। বিশৃঙ্খলাকারী-চুকলখোর সন্তানদের তিরস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, শ্রীধরপাশায় সংঘর্ষে অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, দেশের শান্তি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। ধর্য্য ধরুন বাংলাদেশ অচিরেই সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশ হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেজাউল করিম রিজু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন আন্তরিকভাকে কাজ করছে। সভাপতির বক্তব্যে ওসি হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, জন-নিরাপত্তা রক্ষায় বিট পুলিশিং কাজ করে যাচ্ছে। ছোট-বড় যে কোন সমস্যা সমাধানে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এতে জনগণ সহজে আইনি সেবা নিতে পারছেন। তিনি জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আসুন জঙ্গিবাদ সহ সকল অপরাধ রোধে সবাই মিলে কাজ করি। তা হলে দেশে শান্তি বিরাজ করবে। তা না হলে অপরাধ বেড়ে গেলে এ দেশ পাকিস্তানের মতো অশান্ত হয়ে যাবে।