জাতিসংঘের তথ্যঃ রাখাইনে নিহত রোহিঙ্গার সংখ্যা অকল্পনীয়
শরণার্থীদের বন্ধ্যাকরণের উদ্যোগ * ত্রাণ বিতরণে অনুমতি মিয়ানমারের মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযানে নিহত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ‘খুবই বেশি’ হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তারা একথা বলেছেন। এদিকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় জাতিসংঘকে আবার ত্রাণ তৎপরতার সুযোগ দিতে রাজি হয়েছে। অন্যদিকে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে স্বেচ্ছায় প্রজনন বন্ধ্যাকরণ চালু করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার সেনাদের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ২ মাসের কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাখাইনে জাতিগত নিধন চলছে। রোহিঙ্গারা তদন্তকারীদের বলেছেন, তাদের ওপর হত্যা ও নির্যাতনের পাশাপাশি ধর্ষণ ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে মিয়ানমার সেনারা। জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রধান ও ইন্দোনেশিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মারজুকি দারুসম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, মিয়ানমার সেনাদের কথিত শুদ্ধি অভিযানে নিহতের সংখ্যা খুবই বেশি হতে পারে। তিনি এ সংখ্যাকে অকল্পনীয় বলে ইঙ্গিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা উত্তর রাখাইনের বিভিন্ন এলাকার লোকজনের মুখে (নিপীড়নের) অনেক বর্ণনা শুনেছি। তারা বলেছেন, হাজার হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে নিপীড়ন চালানো হয়েছে। এতে তাদের মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে।’