বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা কড়াকড়ি করতে পারে ইইউ
তাদের সবার আবেদন গৃহীত হয়েছে এমন নয়। প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে অনেকেরটা। এর ফলে প্রত্যাখ্যাত অভিবাসীদের যদি সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানায় তাদের বিরুদ্ধে ভিসা কঠোরতা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে ইউরোপে অবস্থানরত আশ্রয়প্রার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়তে পারেন। জার্মানির আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মাধ্যম ডয়েচে ভেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাড়াও আরো অনেক দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর মধ্যে রয়েছে আফ্রিকার বেশকিছু দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থমাস ডি মেইজিয়েরে। তিনি ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ পত্রিকাকে বলেছেন, যদি প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত নেয়ার ক্ষেত্রে অস্বীকৃতি জানানো হয় তাহলে তাতে নিয়মিত একটি জটিল সমস্যা সৃষ্টি হবে। তাতে সংশ্লিষ্ট দেশের জনগণের ইউরোপে প্রবেশের ক্ষেত্রে শর্ত কঠোর করা হবে যুুক্তিযুক্ত। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে যারা ধীরগতিতে সাড়া দেবে তাদের বিরুদ্ধেই এই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বশেষ এই পদক্ষেপে সবাই একমত নয়। এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লেফট পার্টির সহ-প্রধান কাটজা কিপিং। তিনি বলেছেন, লেফট পার্টি ভিসা কঠোরতায় সমর্থন করে না। কারণ, এতে একটি দেশের সমস্ত মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে। পর্যটক, ছাত্র, সাধারণ মানুষ যারা ইউরোপে কাজ করতে চান তাদের ওপর এর প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মতো প্রশ্নবিদ্ধ পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা সরকারি নীতির কারণে সাধারণ মানুষকে দায়ী করছে।