মেসির খেলা দেখতে মাঠেরাশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা
প্রথমবারের মতো রাশিয়ার মাঠে খেলেছেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। অবশ্য প্রতিপক্ষ রাশিয়ার সঙ্গে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি এই তারকা ফুটবলারের দল আর্জেন্টিনা। মেসির দল রাশিয়ার জালে মাত্র একটি গোল দিতে পেরেছে। এতে মন ভরেনি মেসি ভক্তদের। তবে প্রিয় খেলোয়ারের খেলা মাঠে বসে দেখতে পেরে খুশি ফুটপ্রেমীরা। ৮১ হাজার ধারণ ক্ষমতার মাঠটি ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। রাশিয়া স্বাগতিক হওয়ায় দর্শকদের বেশিরভাগই তাদের পক্ষে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বিদেশি দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদের অনেকেই ছিল আর্জেন্টিনার সমর্থক। মাঠে বসে খেলা দেখেছে রাশিয়া প্রবাসী শতাধিক বাংলাদেশি। রাশিয়া এবং আর্জেন্টিনার পতাকা ছাড়াও তাদের হাতে ছিল বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। মস্কোর লুঝনিয়েস্কাইয়া নাভেরিয়েজনাইয়া স্টেডিয়াম উড়েছে বাংলাদেশের পতাকা! এটি আনন্দের এবং গর্বের বলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
খেলা দেখতে আসা মস্কোর গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র শেখ মিজানুর রহমান বলেন, অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করেছে। অসাধারণ পরিবেশে সবাই মিলে মেসির জাদুকরী খেলা দেখে দারুণ লাগছে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মুরারী সরকার বলেন, মাঠে বসে খেলা দেখার মজাই আলাদা। আমার পছন্দের দল ব্রাজিল। তবে মেসির খেলা দেখতেই মাঠে এসেছি। আমার মন ভরেনি। খুব একটা নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি মেসি। আমরা স্বপ্ন দেখি একদিন বাংলাদেশও এমন ফুটবল খেলবে। পিএইচডি গবেষক আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজীব বলেন, মেসির জাদুকরী খেলা দেখতেই মাঠে এসেছি। বিশ্বকাপ সামনে রেখে এমন আরো প্রীতি ম্যাচ হবে। বেশিরভাগই আমি দেখবো। আর আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ হবে এই স্টেডিয়ামে। এই মাঠে বসে খেলা দেখতে পারা ইতিহাসের অংশ হওয়া বলে মনে করছি।
আরেক পিএইচডি গবেষক কাজী শিবলী শুভ বলেন, রাশিয়ার প্রচন্ড শীতের কথা সবাই জানে। এই শীতে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতেই কষ্ট হচ্ছিল। আর যারা মাঠে খেলছেন তাদের অবস্থা সহজেই অনুমেয়! তবে ম্যাচটি একপেশে হয়নি- এটার জন্য ভালো লাগছে। আর্জেন্টিনা ম্যাচ জিতলেও ভালো খেলেছে স্বাগতিক রাশিয়া। মস্কোর ন্যাশনাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটির ছাত্র আকিকুল ইসলাম লিয়ন ও গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বরুপ বসু দেব বলেন, রাশিয়ার মাঠে তীব্র শীত মোকাবেলা করে প্রথম খেলেছেন মেসি। রাশিয়ায় মাঠে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম হয়েছে ফুটবল জাদুকরের। এই ম্যাচ দেখতে পেরে আমরা আনন্দিত।