নিজেকে সুখী ভাবতে পারাটাও একটি গুণ
খুজিস্তা নূর-ই–নাহারিন (মুন্নি)।।
সুখী হওয়াটা বা নিজেকে সুখী ভাবতে পারাটাও একটি গুণ যা সবার মাঝে থাকে না। যার এই ক্ষমতা থাকে সে নিজের সাথে সাথে চারপাশের মানুষদেরও সুখী করে তুলে। বেশিরভাগ মানুষ কষ্টে আছি বলতে পছন্দ করেন, কেউ কেউ দুঃখের কথা বলতে পছন্দ করেন। মানুষের চাওয়াটাকে সীমাবদ্ধ করতে পারলেই সুখ। কিন্তু সীমাবদ্ধ করাটা এতো সহজ নয়। প্রতিযোগিতাময় জীবনে আমরা প্রতিনিয়ত অন্যের সাফল্যে আনন্দিত হওয়ার পরিবর্তে কষ্ট পাই, হীনমন্যতায় ভুগী। অন্যরা সুখী আছে দেখলে আমাদের নিজেদের অসুখী ভাবা শুরু হয়। অন্যের ভালো কিংবা আনন্দ দেখে আমরা ঈর্ষান্বিত হই।আমরা কিছুতেই বুঝতে চাই না জীবন মানেই কেবল ফুলের বিছানা নয় সেখানে কাঁটার আঘাতও থাকে। যেই সুখ আর হাসি মাখা মুখ দেখে আমরা ঈর্ষান্বিত হই তার মাঝেই হয়তো লুকানো থাকে গভীর কোনো বেদনার রঙ। আমরা কেবল সুখ, সাফল্য, হাসি আর আনন্দ দেখি কারণ তার বেদনারা পাখা মেলার সুযোগ পায় না কখনো ।
যারা বেদনার কথা বলে, কষ্টের কথা বলে সমবেদনা তাদের জড়িয়ে ধরে, আর সুখপাখীরা তখন উড়াল দেয়। এতো বড় একটা পৃথিবী, এক জীবনে সবাই সব কিছু পাবে তা কি করে সম্ভব! কেউ রূপ পাবে, কেউ মেধা পাবে, কেউ অর্থ-বিত্ত পাবে। যারা ভাগ্যবান তারা একসাথে অনেক কিছুই পায় কিন্তু সুখী হতে পারে না। আবার অনেকে কিছু না পেয়েও অনেক সুখে থাকে। অনেক কিছু পাওয়া সত্ত্বেও কিছু না পাওয়ার জন্য নিজেকে হতভাগ্য মনে করি। পাওয়ার হিসেব না করে, না পাওয়া গুলো নিয়ে বিলাপ করে জীবন অতিবাহিত করি । জীবনে না পাওয়াগুলো সহজভাবে মেনে নেওয়ার নামই সুখ। ” যা পাও হাত পেতে নাও, যা না পাও তা চেয়ো না কখনো”।