ছাতকে নৌকাঘাট দখল করে সওজ’র ভুমিতে দোকান কোটা নির্মান
ছাতক সংবাদদাতাঃ ছাতকে নৌকাঘাট দখল করে সড়ক ও জনপথের ভুমিতে অবৈধভাবে দোকান কোটা নির্মান করা হয়েছে। দখলের প্রায় ৭মাস অতিবাহিত হলেও এ ব্যাপারে দখলদাদের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কর্তৃপক্ষ। সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয় অবগত হয়েও রহস্যজনক কারনে দখলদারদের উচ্ছেদ করছেন না। ফলে নৌকা ঘাটে স্বাভাবিক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাশাপাশি এখানের চলমান কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মারাত্মক ব্যবসায়ীক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা জরুরী ভিত্তিতে উচ্ছেদে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গত ২৪ এপ্রিল সওজ’র সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী নির্দেশ দিলেও আজোবধি কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে এখানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিগত ২৩ এপ্রিল নৌকাঘাট ও সওজ’র ভুমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে সওজ সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন জাউয়াবাজারের ব্যবসায়ী ছোরাব আলী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছাতক সওজ’র এসডিইকে জরুরী ভিত্তিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন তিনি। জাউয়া বোকা নদীর তীর সংলগ্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আনিছা ফার্নিচার, শরীফা হার্ডওয়ারসহ কয়েকটি দোকানের ঠিক সামনে সরকারী নৌকা ঘাট দখল করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভুমিতে টিনসেডের পাকা ঘর নির্মান করেন জাউয়া গ্রামের আসলম আলী, রুস্তুম আলী ও চান মিয়া। ফলে প্রতিষ্ঠিত এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মানুষের চোখের আড়ালে পড়ে যায়। পাশাপাশি সাধারন মানুষের চলাচলে সৃষ্টি করা হয় মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে এবং সওজ’র ভুমি দখল করার জন্যই দখলদাররা এখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। দোকান কোটা নিমানের সময় জাউয়াবাজার ব্যবসায়ী কমিটিসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমেও বিষয়টি নিস্পত্তি করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এতে সাড়া দেয়নি দখলদাররা। এ ব্যাপারে ছাতক সওজ’ উপসহকারী প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, জাউয়া এলাকা তার দায়িত্বের বাহিরে থাকায় তিনি এ বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করতে পারছেন। সওজ’র এসডিই নাজমুল ওয়াহিদ চৌধুরী এ ব্যাপারে জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়া নেয়া হচ্ছে।