হবিগঞ্জে ১০ আ’লীগ নেতাকর্মীদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের ১০ নেতার বহিস্কারাদেশ গতকাল জেলা আওয়ামীলীগ প্রত্যাহার করেছে। ফলে এসব নেতা কর্মীরা এখন দলেলর সকল কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করতে পারবেন। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে কাজ করার অপরাধে ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত নেতাকর্মীদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহিরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের পরিচালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সভায় ২৫, ২৬ ও ১৭ মার্চ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি জানান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চিঠির প্রেক্ষিতে পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিস্কৃত নেতাকর্মীদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে তারা তাদের পূর্বের পদ ব্যবহার করতে পারবেন না। তারা প্রাথমিক সদস্য হিসেবে থাকবেন।
সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এবং দলের বিরুদ্ধে অবস্থায় নিয়ে তার পক্ষে কাজ করায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রহমানকে ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর দল থেকে বহিস্কার করা হয়। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মরতুজা হাসান, মাধবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শাহ মুসলিম, মাধবপুর পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি বেনু মাধব রায়, নবীগঞ্জ পৌর যুবলীগ নেতা এমএ আহমদ আজাদ, বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী লাখাই বামৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক মামুন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, গোপায়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনকে বহিস্কার করা হয়েছিল। সকল বহিস্কৃতদের বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।